Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ রোডস, গিবসের খোঁজে কুক

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপ করেছিল। তা নিয়ে হয়েছে নানা সমালোচনা। যদিওবা বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজটি ১-১ সমতায় এনেছিল। তারপরও বোর্ড কর্মকর্তারা ক্যাচ ড্রপ নিয়ে খুশি হতে পারেননি। তাই আগামী ২২ নভেম্বর থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে টাইগারদের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক গতকাল ক্রিকেটারদের অনুশীলনে বেশ তৎপর দেখা গেছে। খেলোয়াড়রা সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা অনুশীলন শেষে কুক বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে ক্রিকেটাররা বেশকিছু ক্যাচ ফেলে দিয়েছিল। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা ফিরে পেয়েছিলেন জীবন। যা কাম্য ছিল না। তাই ছেলেদের ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়েছি।’ বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে কারা কারা ভালো জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘একেক সময় একেকজন ভালো করে থাকে। তাই নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলা যাবে না। এমনকি ফিল্ডিংয়ে এক নাম্বার কে তা বলা কঠিন। যদি ভালোমানের ফিল্ডিং করতে হয় তাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। সেজন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যাদে ভালো ফিল্ডিং করতে পারে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এমনিতে ফিল্ডিংয়ের প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সমস্যা দেখছেন না কুক, অভাব কেবল ফিল্ডিং নায়কের। তার চাওয়া, এই দলই নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে যাক পরের স্তরে, ‘ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি খুশিই। ওদের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে ফিল্ডিংয়ের মানের কথা বললে, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাপারটি হলো, সেখানে অনেকের উদাহরণ আছে সামনে। কেউ হয়তো জন্টি রোডস বা হার্শেল গিবসের মতো হতে চায়। আর এখানকার ক্রিকেটাররা সেই জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওদের তাই ভালো থেকে আরও ভালো হতে হবে। সামনে কোনো নায়ক না থাকা তাই একটি ব্যাপার (ভালো ফিল্ডিং দল না হওয়ায়)। আমি চাই, নিজেদের মানদণ্ড ওরা নিজেরা তৈরি করুক, অবশ্যই ওদেরকে চেষ্টা করতে হবে বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হতে। আমার কোনো সংশয়ই নেই যে এই সামর্থ্য ওদের আছে।’
এদিকে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যেকার প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছে ড্র। খেলা শেষে স্কোয়াডে থাকা মিঠুন বলেন, ‘ওদের পেস বোলিং খুবই ভালো। বিশ্বমানের বোলার আছে তাদের। তবে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে ফ্ল্যাট উইকেট থাকায় বোলারদের মোকাবিলা করতে তেমন কঠিন হয়নি। সাধারণমানের বোলাররা ফ্ল্যাট উইকেটে কিছু করে থাকলেও স্পিন উইকেটে তারা কিছুই করতে পারে না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ভালো করতে পারিনি, তাই প্রস্তুতি ম্যাচে আত্মনিবেশ করে খেলেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন। যে কোনো ম্যাচে আমি আমার স্বাভাবিক খেলা খেলে থাকি।’ প্রস্তুতি ম্যাচে কারা এগিয়ে? মিঠুনের উত্তর, ‘আমরাই এগিয়ে আছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ রোডস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ