বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্বাচনের কারণে এবার উন্মুক্ত স্থানের পাশাপাশি বাসা-বাড়ির ছাদেও থার্টিফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না। একইসঙ্গে থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো আতশবাজি, পটকা ফোটানো, বেলুন ও ফানুস ওড়ানো যাবে না। থার্টিফাস্ট ও বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনার মধ্যে তুলে ধরেছি, এবারের প্রেক্ষাপটটা অন্যরকম। আমাদের জাতীয় নির্বাচন ৩০ তারিখে হতে যাচ্ছে। সে জন্য বিশেষভাবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থার্টিফাস্ট নাইটের জন্য আমরা বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। থার্টিফাস্ট নাইট আমরা প্রথমত নিরুৎসাহিত করবো ওইদিন করার জন্য। কারণ ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন, সেটা লক্ষ্য রেখেই নিরাপত্তা বাহিনী সেদিন ইলেকশনের কাজে নিয়োজিত থাকবে। কাজেই আমরা নিরুৎসাহিত করছি, কোনো ধরনের খোলা জায়গায় যেন থার্টিফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান না হয়। বিশেষ করে কোনো উন্মুক্ত স্থানে এসব অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং বাসার ছাদেও করা যাবে না। ফাইভ স্টার ও আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ছাড়া সব ধরনের বার বন্ধ থাকবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ৩১ ডিসেম্বর দিন ও রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লাবে কোনো বার খোলা থাকবে না। থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো বৈধ অস্ত্র বহন করা যাবে না। ওড়ানো কোনো বেলুন, ফানুস, ফোটানো যাবে না আতশবাজি ও পটকা। তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো হোটেল-গ্যাদারিং সৃষ্টি করে ডিজে পার্টি করা যাবে না। হোটেলগুলোতে এবং বিভিন্ন জায়গায় ডিজে পার্টি করে একটি বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। থার্টিফাস্ট নাইটে হোটেলগুলোতে বৈধ পার্কিংয়ের বাইরে কোনো জায়গায় পার্ক করতে পারবে না। সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো। দেশের পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশে চার্চগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সহযোগিতা করবে। দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো চার্চ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে ৭৫টি। এর মধ্যে বড় ৪টি তেজগাঁও, রমনা, মিরপুর ও বনানীতে। প্রতিটি চার্চের দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হবে। প্রতি চার্চে সিসি টিভি লাগানো হবে। বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশেই সব চার্চ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা থাকবে। থার্টিফাস্ট নাইটের মতো বড়দিনেও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না বলে জানান মন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৬০ লাখ লোক আনসার ট্রেনিংপ্রাপ্ত। কিন্তু নির্বাচনের কারণে সব প্রয়োজন হবে না। আমাদের ৫ লাখ ফোর্স তৈরি রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তারা ট্রেনিং দিয়ে যা যা প্রয়োজন তৈরি করছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ সবাই তৈরি আছে। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।