পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের নিষেধ না মেনে যদি ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়, তাহলে পুলিশই সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে। গতকাল শনিবার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানায় নতুন ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অন্যদিকে বিশেষ অভিযানের নামে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। এবিষয়ে গতকাল শনিবার রাজারবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাজনৈতিক ভিত্তিতে নয়, আইনের মধ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। নিয়মের বাইরে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। হবিগঞ্জ থেকে জেলা সংবাদদাতা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগসহ সমস্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ করে। বিএনপি বলেছে, তাদের অনেক মানুষ জড়ো হবে, সেজন্য তাদের সুবিধার্থেই পুলিশ কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তাদের সমাবেশের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন। এজন্য ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নাকি সেটি না করে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাবে বলে জানিয়েছে। তারা যদি পুলিশ কমিশনারের নিষেধ না মেনে নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় তাহলে পুলিশ কমিশনারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ঢাকা শহরকে সচল রাখতে ও আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কমিশনার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কথাটিও যোগ করেন মন্ত্রী।
দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির চাল-ডাল মজুতের বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছেÑ এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাল-ডাল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে নাকি বিএনপি সরকার পতনের ডাক দেবে। এখানে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে বিএনপি বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এবারও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে নানা অপকৌশল করে যাচ্ছেন। তারা চাল-ডাল মজুত করে কি করে সে বিষয়টি আওয়ামী লীগ দেখছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে পুলিশের অবস্থান কী হবে?- এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপিকে যেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেখানেই তারা কর্মসূচি পালন করবে। এখনো সময় আছে। আমরা অপেক্ষা করব। বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে বলে আশা করি।
ছিনতাই হওয়া জঙ্গিদের এখনো খোঁজ মেলেনি। এমন অবস্থার মধ্যে ঢাকায় বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের সমাবেশ হচ্ছে। সমাবেশ ঘিরে কোনো নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে কি-না? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। ১০ ডিসেম্বর সুনির্দিষ্ট কোনো নাশকতার তথ্য নেই। তবে নাশকতার বিষয় বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করছি।
বিএনপি প্রতিনিধি দলে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা এবং বিশেষ অভিযানের নামে গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে আইজিপি বলেন, আমরা পলাতক জঙ্গিদের ধরতে আভিযানিক কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। আর ওনারা (বিএনপি) যে অভিযোগ দিয়েছেন এগুলো খতিয়ে দেখছি। দেশজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা আইনি কাঠামোতে দায়িত্ব পালন করি। এজন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।