পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা মরহুম শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। গণফোরামের পক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে তিনি ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনে লড়বেন। রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে তার হাতে গতকাল দলের মনোনয়ন ফরম জমা দেন রেজা কিবরিয়া। নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের রেজা কিবরিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবেন কামাল হোসেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শের বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন তিনি। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায়, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ড. কামাল হোসেন যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, আমি তাতে সাড়া দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরামে যোগ দেয়ার বিষয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, বাবার মতো তিনিও দলের চেয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চান। বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ার আদর্শ থেকে আওয়ামী লীগ অনেকটাই দূরে সরে এসেছে। তাই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হয়েছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে কাজ করতে চাই। এজন্য ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি আমার আদর্শ থেকে এক চুলও পিছু হটিনি। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায়, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় ড. কামাল হোসেন যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, আমি তাতে সাড়া দিয়েছি।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশকে ঠিক পথে ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন সাবেক অর্থমন্ত্রীপুত্র রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, একমাত্র ড. কামাল হোসেনই পারেন আমি যে আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সুখী-সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই স্বপ্নপূরণ করতে। জাতিকে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই স্বপ্নপূরণ করার মতো ড. কামাল ছাড়া কেউ নেই।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আপনার বাবা খুন হন, বিএনপি সেই হত্যার বিচার করেনি। তবু কেন বিএনপি জোটে যোগ দিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি আমার বাবার হত্যার বিচার দাবি থেকে পিছিয়ে যাইনি। বাবার হত্যায় জড়িতদের কিংবা নেপথ্যে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গেও আমার কোনো আপস নেই। রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমার বাবা খুন হয়েছেন। বিএনপি বিচার করেনি। তারপর দুই বছর ক্ষমতায় ছিল বিশেষ সরকার, তারাও বিচার করতে পারল না। এরপর তো আওয়ামী লীগ টানা সাড়ে ৯ বছর ধরে ক্ষমতায়, তারা কেন কিবরিয়া হত্যার বিচার করল না- প্রশ্ন রাখেন রেজা কিবরিয়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশে ফেরত নেওয়ার মতো ড. কামাল হোসেন ছাড়া আর কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন আমার বাবা। তার সেই আদর্শ থেকে আমি সরিনি। আমি মনে করি এই মুহূর্তে সারা বাংলাদেশের মানুষ, ড. কামাল হোসেনের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি যে দিক-নির্দেশনা দেবেন দেশের ভবিষ্যতের জন্যে এ দিক-নির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা আমাদের সবার দরকার। অনেক জায়গায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে, অর্থনীতিতে, আইনের শাসন ব্যবস্থার ব্যাপারে, আইনের শাসনটা দেশ থেকে চলে যাচ্ছে অনেকটা। অনেক ব্যাপারে আপনারা বুঝতে পারছেন যে, প্রেসের ফ্রিডম, আপনাদের সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা এটা খর্ব করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়, এটা আমি অ্যাকসেপ্ট করতে পারছি না। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। এটা মেনে নেয়া যায় না।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি এ দেশের নাগরিক, আমার অন্য কোনো দেশে থাকার ইচ্ছা নেই, আমি বাংলাদেশে থাকব এবং আপনাদের সাথে থাকব, আমি এই রূপের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। আমি দেখতে চাই সুজলা সুফলা শস্য শ্যমলা একটা সুখী-সুন্দর নতুন বাংলাদেশ।
২০০৫ সালে শাহ এ এম এস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। সেই হত্যাকান্ডের আসামি বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঐক্যফ্রন্টও এবার লড়বে বিএনপির মার্কা ধানের শীষে। এ প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া বলেন, খুনিরা কোনো দলের হয় না। তিনি এ জন্য কোনো দলকে দায়ী করতে চান না। খুনি-সন্ত্রাসীদের বিচার চান। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবার হত্যার বিচার করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। বিএনপি দুই বছর ও আওয়ামী লীগ ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাবার হত্যার বিচার করেনি। রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মণ্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।