পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রেলওয়েকে লাভজনক করতে এ রেলপথে পণ্য পরিবহন বাড়ানোরও সুপারিশ করা হয়। এজন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন চালুর প্রকল্প মাস্টারপ্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে হাইস্পিড ট্রেন চলবে ২০০ কিলোমিটার গতিতে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টার কিছু বেশি। এজন্য নির্মাণ করা হবে এলিভেটেড (উড়াল) রেলপথ। এতেই চলবে হাইস্পিড ট্রেন। জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায় চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ইন্টারন্যাশনাল (সিআরসিসিআই)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীন সরকারের ঋণের সংস্থান করবে কোম্পানিটি। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে প্রতিদিন ১২ জোড়া ট্রেন চলে। এতে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। আগামী ১০ বছরে এ রুটে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৯ লাখ। তখন কমপক্ষে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাতে হবে। আর ২০ বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রী চলাচলের পরিমাণ দাঁড়াবে এক কোটি পাঁচ লাখ। সে সময় দৈনিক ৪২ জোড়া ট্রেন চালাতে হবে। বিদ্যমান রেলপথ ও ট্রেনে এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য হাইস্পিড ট্রেন চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। যাত্রীর পাশাপাশি এ পথে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন পণ্যও পরিবহন করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, ভারত ও চীনের সঙ্গে রেল সংযোগ উন্নয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক করিডোর বিশেষত বিসিআইএম, আসিয়ান ও ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হতে এটি অবদান রাখবে। পরে রেলপথটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হতে পারে।
এমওইউ অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিদ্যমান রেলপথের পরিবর্তে সরাসরি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি হয়ে কুমিল্লা বা লাকসাম দিয়ে ফেনী, চিনকি আস্তানা, সীতাকুন্ডু হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করতে হবে। জমি অধিগ্রহণ কমানো ও অধিক গতির জন্য উড়ালপথে নির্মাণ করা হবে রেলপথটি।
নতুন এ রেলপথ নির্মাণ করা হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে অনেকটা পথ ঘুরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৩১২ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়। হাইস্পিড ট্রেনের জন্য নতুন রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ২৩২ কিলোমিটার। রেলপথটি নির্মাণে সব ধরনের সিভিল (পূর্ত) ও ইলেকট্রিক্যাল (বৈদ্যুতিক) কাজ বাস্তবায়ন করবে সিআরসিসিআই।
রেলওয়ের তথ্যমতে, আগামী ৫০ বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা পূরণে হাইস্পিড ট্রেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এক্ষেত্রে বিদ্যমান রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন এবং বিভিন্ন মেইল ও লোকাল ট্রেন চালানো হবে। আর যাত্রী পরিবহন করা হবে হাইস্পিড ট্রেনে।
সূত্র জানায়, এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে হাইস্পিড ট্রেন পরিচালনার জন্য আগ্রহ দেখায় চীনের আরেকটি কোম্পানি চায়না রেলওয়ে এরিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (সিআরইইজিসি)। ২০১৫ সালে এ-সংক্রান্ত একটি এমওইউ সই করা হয়েছিল। নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ২০ বছর ট্রেন পরিচালনার মাধ্যমে বিনিয়োগ তুলে নেওয়া প্রাথমিক প্রস্তাবও দিয়েছিল কোম্পানিটি। তবে পরে আর বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দেয়নি সিআরইইজিসি। পরে ওই কোম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাতিল হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।