মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে ব্রেক্সিট সঙ্কট থেকে উত্তরণে এগিয়ে এসেছেন ৫ জন মন্ত্রীর একটি গ্রুপ। থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট বিষয়ক খসড়া বিল নতুন করে তারা পরিবর্তন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ৫ মন্ত্রীর গ্রুপে সমন্বয় করবেন হাউস কমন্সের নেতা আন্দ্রেয়া লিডসম। এমনটাই বিশ্বাস করা হচ্ছে। তার সঙ্গে থাকবেন মাইকেল গভ, লিয়াম ফক্স, পেনি মরডন্ট এবং ক্রিস গ্রেলিং। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বুধবার ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনা বিষয়ে খড়সা চুক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এর পরই তার প্রশাসনে যেন ভূমিকম্প শুরু হয়। পদত্যাগ করেন দু’জন সিনিয়র মন্ত্রী, কয়েকজন জুনিয়র মন্ত্রী ও সহযোগী। তার দলের বেশ কিছু সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা বিষয়ক চিঠি দেন। যদি এ রকম ৪৮টি চিঠি জমা পড়ে তাহলেই হবে অনাস্থা ভোট। আর সেই ভোটেই তেরেসা মে’কে তার নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নামতে হবে। ওদিকে বুধবারের ওই ঘটনার পর তেরেসা মে ওই খসড়া নতুন করে দেখার কথা বলেন তেরেসা মে। তিনি যে খসড়া চুক্তি প্রকাশ করেছেন তার পরিধি ৫৮৫ পৃষ্ঠা। এতে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ইউরোপিয় ইউনিয়নকে কি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, নাগরিকদের অধিকার কি হবে তার বিস্তারিত রয়েছে। বিবিসি লিখেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এটা প্রকাশ পায় যে, চারজন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খসড়া চুক্তির বিশেষ বিশেষ অংশ পরিবর্তনের কাজ করবেন। বিশেষ করে তারা নজর দেবেন আইরিশ বা উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ে। অপরদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। মে বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) খসড়া চুক্তিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব উল্টে যায়। বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব। এর এক ঘণ্টা পরই কর্মসংস্থান ও পেনশন বিষয়ক মন্ত্রীর পদত্যাগসহ আরো কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগে মে’র মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। মে’র নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া শুরু করেন এমপি’রা। ফলে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে পড়ে মে’কে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে হতে পারে বলে জল্পনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সব জল্পনা নাকচ করে মে বলেছেন, “আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব”। ব্রাসেলসে চুক্তিটি সই করানো ছাড়াও এতে এমপি’দের সমর্থন আদায়ের অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তার ব্রেক্সিট চুক্তি ‘দেশের জন্য সবচেয়ে ভাল এবং সঠিক বলেও’ দাবি করেছেন মে। কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা স¤প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে একমত হন। এ চুক্তিতে কিছু কঠিন এবং অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত আছে বলে মে স্বীকার করলেও এটি জাতীয় স্বার্থের দিকটি লক্ষ্য রেখেই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “চুক্তিতে কিছু বিষয়ে আপোস করা নিয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন সেটি আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু জনগণ যার জন্য ভোট দিয়েছিল এ চুক্তিতে সেটিই করা হয়েছে এবং তা জাতীয় স্বার্থেই হয়েছে।” বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।