পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো যদি না মানা হয়, আর গণগ্রেফতার যদি অব্যাহত থাকে তাহলে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে হবে না। শেখ হাসিনা নিজেই ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এবার আর ঐ ভোট করতে পারবেন না, যে ভোটে আপনি জোর করে জয়লাভ করতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টিও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. নাজিমউদ্দিন আহমদের নাগরিক ঐক্যের সাথে একাত্বতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সমন্ধয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, মুক্তিযুদ্ধকালীণ আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসক ডা. নাজিমউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা মানুষের কাছে গিয়ে বলবো আপনার একটা ভোট বেগম জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারবে। আপনার একটা ভোট এই জুলুমবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে পারবে। আপনার একটি ভোটেই এদেশের মানুষের হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসতে পারে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এবারের ভোট ২০১৪ সালের মতো আমরা হতে দেবো না। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে দিতে হবে। তাদেরকে দেখতে হবে, ভোট ঠিকমতো হচ্ছে কি না। নাকি ভোটের নামে ডাকাতি হচ্ছে। কিংবা গুন্ডামী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথম সংলাপের দিন আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এবারের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে পারবেন। অথচ এমন একটা তারিখে ভোটের ব্যবস্থা করা হলো তার দুই দিন পরে ‘বড়দিন’। তারপর আবার ৩০ ডিসেম্বর পূণরায় ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হলো যেইদিন রাতেই থার্টিফাস্ট নাইট, তার পরদিন ইংরেজি নববর্ষ। এটা একটা দুর্ভিসন্ধির তারিখ। যেন বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে না পারে। সেই সুযোগে তারা চুরি করে আবার নির্বাচনে জয়লাভ করতে চায়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, এই সমস্ত বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলতে চাইলাম। এই দালাল নির্বাচন কমিশনার আমাদেরকে বলেছে, তারা নাকি এখন আর আমাদের সাথে বসতে পারবে না। তিনি বলেন, আপনারা আমাদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে আমাদের সাথে কথা বলতে পারবেন না কেন। তাহলে কার সাথে কথা বলবেন। খালি হাসিনার কথায়? ঐদিন শেষ। এটা আর চলতে দেয়া হবে না।
মান্না বলেন, আমরা ভাল মানুষ তাই কোন গোলমাল লাগাতে চাই না। অভিযোগ আছে গত নির্বাচনের সময় আপনারা আগুনে বাস পুড়িয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। বেগম জিয়ার নামে বাসে হামলা করার মামলা দিয়েছেন। ৮০ বছরের একজন বয়োবৃদ্ধ নেতা এমকে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যাদের হাটারও শক্তি নাই তাদের বিরুদ্ধেও বাস পোড়ানোর মামলা দিয়েছেন। সেটা আপনাদের দিকে যেন ফিরে না আসে আমরা সেটা চাই না।
তিনি বলেন, আজ বুধবার বেলা ১২টার সময় আমরা ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের কথাগুলো বলতে আমরা যাবোই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের সরকারের হাতে আর কোন ক্ষমতা থাকে না। নির্বাচন কমিশনের হাতেই সব ক্ষমতা চলে আসে। অথচ গ্রামে গ্রামে, থানায় থানায় এখন গণগ্রেফতার চলছে। করা করছে? কার নির্দেশে? এই গ্রেফতার কি নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে হচ্ছে? নাকি সরকারের কথায় গ্রেফতার করা হচ্ছে।
মান্না বলেন, আমাদের দাবি যাদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি তা মানা না হয়, আমার বক্তব্য এখানেই শেষ। আমরা ভোট করতে চাই, ভোট করবো। আমরা জানি ভোটে ওরা জিততে পারবে না। আমরা নির্বাচনে সেনাবাহিনী চেয়েছি। তারা বলছে, নির্বাচনে পুলিশ থাকবে সেনাবাহিনী থাকবে না। তিনি বলেন, আমাদের সেনা বাহিনীর সদস্যরা বিদেশের মাটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারলে নিজেদের দেশে কেন কাজ করতে পারবে না। আমরা বলেছি নির্বাচনে পুলিশ, র্যাবের সাথে সেনাবাহিনীও থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।