পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশব্যাপী আয়কর মেলার আয়োজন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত এই মেলা আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। চলবে আাগমী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’।
রাজধানীতে মেলা হবে মিন্টুরোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। এ ছাড়া সব জেলা শহরে চার দিন এবং ৩২টি উপজেলায় দুই দিন মেলা হবে। পাশাপাশি ৭০টি উপজেলায় এক দিন ভ্রাম্যমাণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রতিবছরের মতো এবারের মেলায়ও করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম জমা দিতে পারবেন।
এবারের কর মেলায় করদাতারা ১০ ধরনের সেবা পাবেন। সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা; রিটার্ন জমার জন্য কর অঞ্চলভিত্তিক আলাদা বুথ; নতুন ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) ও পুরোনো টিআইএনের বদলে নতুন ইটিআইএন নেওয়ার সুবিধা; কর পরিশোধে ই-পেমেন্টের সুযোগ; মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতার জন্য আলাদা বুথ; সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বুথের মাধ্যমে কর পরিশোধের সুবিধা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (ইআরডি) বিভিন্ন সংস্থার তথ্য জানার জন্য আলাদা বুথ; মেলা প্রাঙ্গণে আয়কর রিটার্ন, ইটিআইএন আবেদন ফরম ও চালান ফরম সরবরাহ; করদাতার জন্য সহায়তা কেন্দ্র এবং ফটোকপি সুবিধা। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে। করদাতারা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ হোসেন বলেন, মেলা আয়োজনের পাশাপাশি করনেট সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের জন্য ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা, উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস সম্প্রসারণ এবং ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা। তিনি জানান, বর্তমান ৩৫ লাখ ই-টিআইএনধারীর সংখ্যাকে আগামী ২ বছরে ৫০ লাখে উন্নীত করা হবে। এখন মাত্র ২০ লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল হচ্ছে। রিটার্ন দাখিলের এই সংখ্যা ৩৫ লাখে উন্নীত করা হবে।
এদিকে গত আট বছরে এনবিআর’র আয়কর মেলায় ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ১২৫ জন নাগরিক (ব্যবসায়ী, সরকারি ও বেসরকারি) সেবা পেয়েছেন। তাদের ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা, রিটার্ন গ্রহণ, কর পরিশোধ এবং কর বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক সেবা দেওয়া হয়েছে। আর এ সেবার মাধ্যমে এনবিআরের ১০ হাজার ৫৩২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য মতে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আয়কর সম্পর্কে ভীতি দূর করার পাশাপাশি কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হয়। তখন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গত আট বছরে মেলায় ১১ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ জন মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। মেলায় নতুন করে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭১১ জন মানুষ ই-টিআইএন খুলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।