Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সাভার ও রংপুর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শামিম হোসেন (৪৫) এবং রংপুরে পুলিশের সঙ্গে‘বন্দুকযুদ্ধে মাসুদ রানা নামে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, নিহতরা দুইজনই ডাকাত। এসময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, ঢাকার ধামরাই থেকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টা পর সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শামিম হোসেন (৪৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে। নিহত শামিম হোসেন (৪৫) যশোর জেলার কোতোয়ালী থানার মহেন্দপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়া ইউনিয়নের টংগাবাড়ি এলাকায় ধামরাই থানা পুলিশের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, রাত ৯ টার দিকে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকা থেকে ডাকাত সদস্য শামিমকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, শামীমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গভীর রাতে ধামরাই ও আশুলিয়ার থানা পুলিশ আশুলিয়ার টংগাবাড়ি এলাকায় ডাকাতদের সন্ধানে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ডাকাত দলের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম জানান, রাতে ধামরাই থানা পুলিশের সাথে আশুলিয়ার টংগাবাড়ি এলাকায় ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শামিমকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রংপুরে পুলিশের সঙ্গে‘বন্দুকযুদ্ধে মাসুদ রানা নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহত যুবক কুখ্যাত ডাকাত। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গত রোববার মধ্যরাতে জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের সাতানি শেরপুর এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। রংপুরের অতিরিক্ত সুপার পুলিশ (সার্কেল এ) সাইফুর রহমান সাইফ জানিয়েছেন, রোববার রাত তিনটর দিকে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় টহল পুলিশের একটি দল ঐদিক দিয়ে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে মাসুদ রানা (৩০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন- এসআই আবদুল ওহাব, আমজাদ হোসেন, এএসআই মাসুদ রানা, মামুনুর রশিদ ও মমসের। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবক একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ