পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, শাপলা চত্বরে গিয়েছিলাম বিশ্ব নবী (সা.) ইজ্জত সম্মান রক্ষা করার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি- গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এসব এলাকায় শহীদ করা ছয় লাশসহ আমার সামনে আরও আটটি লাশ পড়েছিল। ওইদিন শতাধিক নিহত ও আহত হয়েছে অগণিত। সেদিন আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমার টেলিফোনে বারবার ফোন আসছিল আপনি চলে যান।
গত শনিবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ফতুল্লার মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ, সংবর্ধনা ও ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেফাকের জেলা শাখার সভাপতি আল্লামা আবদুল কাদের।
পবিত্র কুরআন থেকে উদ্ধৃত করে আল্লামা বাবুনগরী আরও বলেন, কওমি গোষ্ঠী ও মুসলমানদের পিতা ইব্রাহীম (আ.)। তাহলে কওমি জননীও সে রকম কাউকে হতে হবে। তাকে অবশ্যই দিনদার ও পরহেজগার হতে হবে। তিনি বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী সচিবরা বলছেন, বর্তমান সরকার ওলামায়ে দেওবন্দিদের মূল ধারায় নিয়ে আসছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এতদিন ওলামা কেরামদের কোনো মূলধারা ছিল না।
হেফাজতের এই নেতা বলেন, কওমী সনদের স্বীকৃতি এতদিন না দিয়ে সরকার নিজেই মূলধারায় ছিল না। আমরা আগে থেকেই মূলধারায় আছি। সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করে নাই, সরকার নিজেই সম্মানিত হয়েছে। সরকার আমাদের সনদের স্বীকৃতি দিয়ে মূলধারায় আনে নাই বরং সরকারই মূলধারায় চলে এসেছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, ওইদিন নাকি শাপলা চত্বরে কাউকে হত্যা করা হয়নি! যারা এ রকম বলে তারা মিথ্যা বলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।