নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিল তার ব্যাট। একাধিক ডাবল সেঞ্চুরিও প্রথম এল ওই ব্যাটেই। প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি কবে পাবে বাংলাদেশ? প্রত্যয়ী কণ্ঠে মুশফিকুর রহিম বললেন, এই ইতিহাস গড়ার বিশ্বাসও তার আছে। বিশ্বাসটা তার জন্মেছে নিজের পারফরম্যান্স থেকেই। সামর্থ্যের সীমানা বাড়ছে সময়ের সঙ্গে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে যখন ডাবল সেঞ্চুরি করলেন, সেই ম্যাচের আগে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল কেবল মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৫৮। সেটিকে পেছনে ফেলে মুশফিকের ব্যাটেই উন্মোচিত হয়েছিল নতুন দিগন্ত।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, স্বপ্নের সীমানা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই ইনিংস, ‘আমি আমার নিজের ভেতর এটা বিশ্বাস করি ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারব। প্রথম যখন দুইশ করেছি, তার আগে মনে হয়নি পারব। পরেও মনে হয়েছে, আবার কবে না কবে পারব! আমার মনে হয়, আমাদের টপ অর্ডারদের কারও জন্য এটা অসম্ভব না (ট্রিপল সেঞ্চুরি করা)।’
তবুও যে কারণে কিপিংয়ে
প্রায় ১০ ঘণ্টা ব্যাটিং করার পর যখন বিশ্রামই ছিল অনুমিত, জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই আবার নেমে গেলেন কিপিংয়ে! দিন শেষে মুশফিক জানালেন, দলকে সাহায্য করতেই দাঁড়িয়েছেন উইকেটের পেছনে, ‘কিপিং করেছি কারণ, যেন আমি আমার বোলারদের ফিডব্যাক দিতে পারি। এত সময় উইকেটে ছিলাম, আমি যত সহজে উইকেট বুঝতে পারব, অন্যরা পারবে না। এরকম একটা হয়েছিল, তাইজুল যখন একটা প্রান্ত থেকে বল করছিল, আমি বললাম অন্যদিক থেকে করতে। কিছুটা ওঠা-নামা করায় ওর প্রথম বলেই কিন্তু মাসাকাদজা আউট হলো। এই টেস্ট আমাদের যে কোনোভাবে জিততে হবে। সেটাই ভেবেছি আর কী।’
উদযাপন স্ত্রীর জন্য
সেঞ্চুরির উদযাপন ছিল একটু খ্যাপাটে। ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপনে বাঁধভাঙা উল্লাসের সঙ্গে মিশে থাকল রোমান্টিকতার ছোঁয়া। প্রথম উদযাপনে ছিল অধরা কিছুকে পাওয়ার উচ্ছ¡াস। পরের উদযাপন আগে থেকেই ঠিক করে রাখা, তার স্ত্রীর জন্য, ‘মিরপুরের প্রথম সেঞ্চুরি, এটা ব্যাক অব দ্য মাইন্ড ছিল। যখন ৭০-৮০ করে ফেললাম, তখন সেঞ্চুরির ভাবনা এল। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের ঘরের মাঠে ভালো রেকর্ড থাকে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার মিরপুরে একশ নাই।’ এবারও উদযাপনে প্রথাগত উল্লাস ছিল, সঙ্গে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে দুই হাত উঁচিয়ে আঙুলে ‘লাভ’ চিহ্ন বানিয়ে এঁকে দেন চুম্বন। লাজুক হাসিতে মুশফিক জানালেন, স্ত্রীর জন্যই তার বিশেষ এই উদযাপন, ‘সেলিব্রেশন যদি বলেন, ইনিংসটি আমি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছি। ইনিংসটা অনেক স্পেশাল ছিল এবং ও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে।’
জয়ে পাবে পূর্ণতা
কোন ইনিংসকে এগিয়ে রাখবেন মুশফিক? বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গল টেস্টে করা ডাবল সেঞ্চুরি নাকি রেকর্ডের মালায় সাজানো মিরপুর টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিকে? কিপার ব্যাটসম্যান জানালেন, সেটি নির্ভর করবে ম্যাচের ফলের ওপর। আপাতত এটি কেবল একটি ভালো ইনিংস, ‘এই সেঞ্চুরিকে এগিয়ে রাখার সময় আসেনি। যদি এই ম্যাচ জিততে পারি তাহলে এটাই এগিয়ে থাকবে। কারণ, আমরা গলে টেস্ট জিততে পারিনি, ড্র করেছিলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।