পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাষায় দুর্বল অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন যাতে ভুয়া কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে আশ্রয় প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর আদালত কতৃক তাদের আবেদনের বৈধতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বেশ কিছুটা সময়, কখনো কয়েক বছর লেগে যায়।
কর্মকর্তারা বলেন, সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রবেশকারী ৩ লাখ ৯৬ হার ৫৭৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে হোয়াইট হাউসে বক্তৃতায় ট্রাম্প তার অভিবাসন বিরোধী বার্তা আরো জোরদার করে বলেন, ধর ও ছাড়। এ কাজটি করা অসম্মানজনক। এই নীতি অবৈধ বিদেশীদের আটক করার পর তাদের আমাদের সমাজে মিশে যেতে দিচ্ছে।
নতুন আইনের লক্ষ্য বিপুল সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থী গ্রুপগুলোকে আশ্রয়ের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে ‘ধর ও ছাড়’ -এর অবসান ঘটাতে সাহায্য করা। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে ও আশ্রয় লাভের চেষ্টা করবে তাদের আটক করা হবে ও দ্রুত নিজ ফেরত পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবারের আশ্রয় আইনের পরিবর্তন হচ্ছে দেশের অভিবাসন আইনের ব্যাপক পরিবর্তন কার্যকর করার মাধ্যমে কঠোরভাবে অভিবাসন হ্রাসের জন্য ট্রাম্পের সরকারব্যাপী এবং হোয়াইট হাউসে সিনিয়র অভ্যন্তরীণ নীতি উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারসহ তার কট্টরপন্থী সহযোগীদের সমন্বিত উদ্যোগের অংশ।
ভ্রমণ নিষিদ্ধের বাইরে ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগমনেচ্ছু উদ্বাস্তুদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কর্তন করেছেন। তিনি যে আইনের প্রস্তাব করেছেন তাতে কেউ ফুড স্ট্যাম্প ও গৃহায়ন ভাউচারের মত সরকারি সুবিধা ভোগ করলে তাদের গ্রিন কার্ড বাতিল করে বৈধ অভিবাসীদের শাস্তি দেয়া হবে।
তার প্রশাসন দীর্ঘদিনের অস্থায়ী সুরক্ষিত স্ট্যাটাস কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ারও চেষ্টা করেছে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য হাইতি, এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের মত দেশগুলো থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক গোলযোগে বিপর্যস্ত লোকদের অস্থায়ী ত্রাণ প্রদান।
ট্রাম্প ওবামা আমলের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্য্যারাইভালস (ডিএসিএ) নামের কর্মসূচির অবসান ঘটানোর আদেশ দিয়েছেন। এ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল ১৮ লাখ তরুণ অভিবাসীকে প্রত্যর্পণ থেকে রক্ষা ও তাদের যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করতে দেয়ার অনুমতি প্রদান।
আদালত এ কথা বলে সরকারকে ডিএসিএ বন্ধ করার ব্যাপারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে প্রশাসন এ ব্যাপারে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। ৮ নভেম্বর একটি আপিল আদালত এ কর্মসূচি চালু রাখার এক নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাস কর্মসূচি বন্ধে ট্রাম্পের চেষ্টায় আদালত বাদ সেধেছে। তবে এক বছরেরও বেশি সময় আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট জুন মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দফা বহাল রেখেছে ও তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মিলিত চেষ্টার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ-অবৈধ সকল অভিবাসন স্রোত ভীষণভাবে ধীর করার চেষ্টা চলছে।
আশ্রয় প্রার্থনার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ দক্ষিণ সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকারী মধ্য আমেরিকার পরিবারগুলোর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের জবাব। সেপ্টেম্বরে বর্ডার পেট্রোল ১৬ হাজার ৬৫৮টি পরিবারকে আটক করেছে।
গত এপ্রিলে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী সকল প্রাপ্ত বয়স্কদের বিচার করে বিচার বিভাগ সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এ নীতি ছেলেমেয়েদের বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় ও রাজনৈতিক কেলেংকারির সৃষ্টি করে যা ট্রাম্পকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
তবে তখন থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট ও বিচার বিভাগ মধ্য আমেরিকা থেকে অভিবাসী আগমন রোধে নানা ধরনের নতুন নীতি প্রণয়নের জন্য অতিরিক্ত সময় কাজ করছে।
এখন মেক্সিকো সিটির কাছে অভিবাসী কাফেলা জড়ো হওয়া ট্রাম্পের ক্রোধ বাড়িয়েছে এবং তা বন্ধের বিষয়টি মধ্যবর্তী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
কিছু রিপাবলিকান ভোটারের জন্য এটা এক শক্তিশালী বিষয় হবে অনুধাবন করে ট্রাম্প আশ্রয় আইন পরিবর্তন করার ব্যাপারে নির্বাচনী প্রচারণায় বারংবার প্রতিশ্রুতি দেন।
১ নভেম্বর এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, আইনে বিরাট ত্রুটি থাকার কারণে আমাদের মহান দেশে ভুয়া বা গুরুত্বহীন কারণে আশ্রয় লাভের জন্য বিদেশীরা সীমান্তে এসে জড়ো হচ্ছে। তাদের পাঠ করার জন্য ছোট্ট আইনি বিবৃতি দেয়া হয় এবং তারা তা পাঠ করে। তারপর হঠাৎ করেই তারা আশ্রয় লাভের যোগ্য হয়ে যায়।
তিনি আশ্রয় লাভের ব্যাপারে কোনো নির্বাহী আদেশ ঘোষণার পরিকল্পনা করছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, এর ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।