Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিন্ধুর পানি নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগে সুর মেলালো জেএনইউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৯ পিএম | আপডেট : ১২:১১ এএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

জলবায়ু পরিবর্তন সিন্ধু অববাহিকায় কী প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কিত জেএনইউর একটি গবেষণা সমীক্ষা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছেন বলে দি প্রিন্ট জানতে পেরেছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরবর্তনের ফলে সিন্ধু অববাহিকার নদীগুলোর ওপর ভারত আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ দেবে। আর তাতে পাকিস্তান নাজুক অবস্থায় পড়বে। এ কারণে দুই দেশের মধ্যে পানি নিয়ে আরো ভালো ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সমীক্ষাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল ক্লাইটোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ধু নদের পানি নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান প্রতিধ্বনিত করায় প্রধানমন্ত্রীর অফিস উদ্বিগ্ন।
দি প্রিন্ট জানতে পেরেছে, পিএমও অফিস বিষয়টি সম্পর্কে পরিবেশমন্ত্রী হর্শ বর্ধনের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। পিএমও এই প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
ধীরেন্দ্র কুমার, সিমরান চোপরা ও অরুনাভ চৌধুরীকে নিয়ে সমীক্ষাটি সম্পন্ন করেন অধ্যাপক এ পি দিমরি। তিনি দেখতে পেয়েছেন যে বৈশ্বিক উষ্ণতার বর্তমান হার পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকার ভাটিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।
সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের মতো তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে অববাহিকার এই অংশ ২০৯৯ সালে শুকিয়েও যেতে পারে। এর ফলে নদীগুলোর পানির ওপর ভারতের আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে স্বীকার করা হয়, ভারত উজানে থাকায় তার যেকোনো ভূমিকাই পাকিস্তানসহ নদীর অববাহিকতাজুড়ে রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
সমীক্ষায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সিন্ধু অববাহিকা অঞ্চল পানি প্রাপ্তির দিক থেকে নাজুক অবস্থায় থাকবে। এতে বলা হয়, ভাটি অঞ্চলের পানির ওপর উজান অঞ্চলের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে উজানে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ করা হলে ভাটি অঞ্চলের পানির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
কৃষি ও পানির দুষ্প্রাপ্যতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলনামূলক নতুন বিজ্ঞান। ফলে এ নিয়ে নতুন নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। সিন্ধুর পানিবণ্টন নিয়ে পাকিস্তান ও ভারত তীব্র বিরোধে নিয়োজিত। আর জলবায়ু পরিবর্তন ও সম্পদের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ওই বিরোধ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
সিন্ধুর পাঁচটি শাখার পানি দেশ দুটি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছে। এগুলোর মধ্যে রাভি, চেনাব ও ঝিলাম প্রবাহিত হয়েছে ভারত থেকে, আর শতদ্রু ও বিপাশা প্রভাহিত হয়েছে পাকিস্তান থেকে।
ভারত ঝিলামে কৃষেনগঙ্গা বাধ নির্মাণের উদ্যোগ নিলে ২০১০ সালে পাকিস্তান বিষয়টি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায়। পাকিস্তান বলছে, উজানের দেশ ভারত আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে। আদালত ২০১৩ সালে পাকিস্তানের অভিযোগ বাতিল করে দেয় নদীর পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার যুক্তি মেনে। ফলে পানি বিরোধ দুই দেশের মধ্যে বিরাট উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ