Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধানসিঁড়ি নদী খননের দাবি ঝালকাঠি জেলা সাংবাদিক সমিতির বেকুটিয়া সেতু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদী খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ ঝালকাঠি জেলা সাংবাদিক সমিতি। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাবুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ আকন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জহির ইলিয়াছ খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যর্নিবাহী সদস্য মিজান রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন ইমন, প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ রিপন প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বারবার উঠে আসা সেই ধানসিঁড়ি নদী এখন মৃত প্রায়। আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর ধানসিঁড়ি নদীর রাজাপুর অংশের অবস্থা খুবই করুণ। এই অংশে খননের অভাবে ও বাগড়ি বাজার গরুর হাট এলাকায় দখল হওয়ার কারণে নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বক্তারা দ্রæত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধানসিঁড়ি পুনঃখননের দাবি জানান। এছাড়াও বক্তারা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মস্থান রাজাপুরের সাতুরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ ও রাজাপুর এবং কাঠালিয়া উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নতিকরণের জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধনে।
এদিকে পিরোজপুর-ঝালকাঠি মহাসড়কের কচাঁ নদীর উপর অষ্টম চীন মৈত্রী বেকুটিয়া সেতু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বেকুটিয়া সেতু বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। কমিটির আহবায়ক আহসান হাবিব মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর হোসেন, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন, সংগ্রাম কমিটি সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে বরিশালের এক জনসভায় পিরোজপুরের বেকুটিয়া নামের স্থানে কচাঁ নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেতু বিভাগ হতে সেতু নির্মাণ এর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেকুটিয়া ফেরীঘাটের পরিবর্তে অন্যত্র সেতু নির্মাণের পায়তারা করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ