মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সবচেয়ে বড় বিমানশক্তির প্রদর্শনীতে সাম্প্রতিককালের দুটো অত্যাধুনিক ট্যাকটিক্যাল অস্ত্রের প্রদর্শনী করলো চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ব এবং দক্ষিণ চীন সাগরে শত্রুর মোকাবেলার জন্যই এসব অস্ত্র প্রদর্শন করা হলো। বর্তমানে পিপলস লিবারেশান আর্মি (পিএলএ) ব্যবহার করা ৬০৯ গোয়েন্দা রাডার এবং সিএম-৪০১ জাহাজ-বিধ্বংসী মিসাইলের রফতানী উপযোগী ভার্সানের প্রদর্শনী করা হয় এতে। চলতি সপ্তাতে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাইয়ের বিমান প্রদর্শনীতে এগুলো প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হয়। ৬০৯ গোয়েন্দা রাডার ইউএস এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের মতো স্টেলথ বিমান, ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং মহাশূণ্যের কাছাকাছি টার্গেটের ব্যাপারে আগাম সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম। চায়না ইলেক্ট্রনিক টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশানের (সিইটিসি) ১৪তম ইন্সটিটিউট এটি তৈরি করেছে। হংকং-ভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ সোং ঝোংপিং বলেছেন যে, ৬০৯ রাডার চীনের সমন্বিত এন্টি-স্টেলথ ও এন্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটাকে পিএলএ’র বিমান ও নৌ কমব্যাট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করা যাবে এবং এটা দিয়ে আকাশ-থেকে-আকাশে এবং আকাশ-থেকে-সাগরে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যাবে। হংকংয়ের ফিনিক্স টেলিভিশনের সামরিক ভাষ্যকার সোং বলেন, “সিএম-৪০১ সিস্টেমটি মূলত একটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইল, ট্যাকটিক্যাল মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থেকে যেটাকে উন্নততর করা হয়েছে। “এটা স্থলভাগের কোন স্থির টার্গেটকে এবং সাগরের চলমান টার্গেটকে ধ্বংস করতে সক্ষম। মাঝারি থেকে বড় যুদ্ধজাহাজকেও ধ্বংস করতে সক্ষম এটা”। তিনি আরও বলেন, এই দুটি অস্ত্র ব্যবস্থা বিভিন্ন উচ্চতা ও দূরত্বে আরও অন্যান্য বহু ধরনের বহুমাত্রিক রাডার সিস্টেমের সহায়তায় পরিচালিত হবে। সোং বলেন, “পিএলএ ৬০৯ রাডার এবং সিএম-৪০১ সিস্টেমের অত্যাধুনিক সংস্করণটি ব্যবহার করছে, এবং এগুলোর বেশির ভাগই উত্তরপূর্ব এশিয়া পূর্ব চীন সাগরে মোতায়েন করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে চীন পারমাণবিক অস্ত্র ও স্টেলথ জঙ্গিবিমানের হুমকি মোকাবেলা করছে”। নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি শুরুর পর থেকে উত্তরপূর্ব এশিয়ায় পারমাণবিক হুমকি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে আছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রও এ বছর দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে স্টেলথ বিমান মোতায়েন করেছে। পূর্ব চীন সাগরে জাপানের সাথে দিয়াওইউ দ্বীপ নিয়ে চীনের আঞ্চলিক বিবাদ রয়েছে। জাপান এ দ্বীপটিকে সেনকাকুস দ্বীপ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। ১৪তম ইন্সটিটিউট পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমানের জন্য ‘এয়ারবোর্ন একটিভ ফেজ ফায়ার কন্ট্রোল রাডার সিস্টেম’ও তৈরি করেছে। পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে এই হালকা সিঙ্গেল-ইঞ্জিন মাল্টিরোল জঙ্গিবিমান তৈরি করে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।