নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খেলা চলার কথা ছিল গতকালও। ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি নির্লজ্জ প্রদর্শনী না হলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেকটাও রাঙানো থাকতো বাংলাদেশের জয়ে। তবে তার বদলে গ্লানির বোঝা বাড়িয়ে সেই ভেন্যুতেই প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে চললো বাংলাদেশের ঐচ্ছিক অনুশীলন!
গ্যালারিতে মানুষ নেই, গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভিড়ভাট্টা নেই। দলের বেশিরভাগই চলে গেছেন ঢাকায়। যারা রয়ে গেছেন তাদের নিয়ে সকালে মাঠে এলেন তিন কোচ। সিলেট টেস্টের একাদশে যারা ছিলেন তাদের দেওয়া হয়েছিল ছুটি। ছুটি পেয়ে সকালেই ফ্লাইট ধরে ঢাকা চলে গেছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা। মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত আগের দিন খেলেও এদিন অনুশীলনে এলেন নিজের তাড়না থেকেই। সিলেটে স্পিনবান্ধব উইকেট হলেও ঢাকার টেস্টে পরীক্ষা হতে পারে পেসারদের। তাইতো এদিন মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, খালেদ আহমেদদের নিয়ে কাজ করেলেন কোর্টনি ওয়ালশও।
সবচেয়ে বেশি যেটি লজ্জায় ফেলেছে তা হলো ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে ১৪৩ এবং একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক শিবির গুটিয়ে গেল ১৬৮ রানে। সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে সাড়ে তিন দিনে ১৫১ রানের বিশাল হারের পর দেশের ক্রিকেটে লেগেছে বড় ঝাঁকুনিই। ব্যাটসম্যানদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসার মিছিলের পর প্রশ্ন উঠেছে দল নির্বাচন নিয়েও। সবেচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার অভিজ্ঞদের বাজেভাবে আউট হবার ধরণে। কাইল জার্ভিসের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছিলেন স্পেশালিস্ট টেস্ট বাটসম্যান মুমিনুল হকও। ভুলটা কোথায় হয়েছিল, তা বোঝাতেই তাকে নিয়েই সেশনের সিংগভাগ ব্যায় হরলেন স্টেভ রোডস। নেটে গিয়ে মুমিনুলকে প্রধান কোচ দেখাচ্ছিলেন ফুটওয়ার্ক। দীর্ঘক্ষণের ক্লাস কীভাবে শরীর বলের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তা।
জাতীয় লিগের কয়েক মৌসুম থেকেই রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া তুষার ইমরানের নাম এসেছে সবার আগে। এই মৌসুমেও রান সংগ্রহে তিনি আছেন দুই নম্বরে। কোচের কাছেও গেল এই প্রশ্ন। টেস্টে তরুণদের ব্যর্থতার সময়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে কি সুযোগ দেওয়া যায় না? তুষার যেখানে রান করেছেন, সেই জাতীয় লিগের উদাহরণ টেনেই রোডস এগিয়ে রাখলেন শান্তদেরই, ‘জাতীয় দলের যারা জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছে তাদের মধ্যে শান্ত ১৮০ করেছে, লিটন দুশো করেছে, মুমিনুল সেঞ্চুরি করেছে, আরিফুল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। কাজেই তারাই অনেক রান করেছে। যাদের কথা বললেন (তুষার ইমরান) তাদের চেয়ে বেশি রান করেছে। তারাই এই মুহূর্তে সেরা খেলোয়াড়। আমি মনে করি সাকিব, তামিম না থাকলে এদের উপরই আমাদের ভরসা করতে হবে।’
সর্বশেষ আট টেস্ট ইনিংসেও বাংলাদেশ করতে পারেনি দুশো রান। তবু কোচের চোখে এটা কেবলই আরেকটি খারাপ দিন, ‘সবারই খারাপ দিন যায়। আপনারা কাজ করেন আপনাদেরও খারাপ দিন আসে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা নিয়ে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
তীব্র সমালোচনা চলছে চারপাশে, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বলছেন এভাবে টেস্ট খেলার মানে নাই। তবু এই দুঃসময় থেকে নিজেদের বৈশিষ্ট্যেই ফিরে আসবে বাংলাদেশ, এমন বিশ্বাস কোচের, ‘ছেলেরা ভুল শোধরাতে মুখিয়ে আছে। বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে আমি যেটা উপভোগ করি তা হচ্ছে দারুণভাবে ফিরে আসার মানসিকতা। খুব খারাপ অবস্থা থেকেও ফিরে আসার শক্তি রাখে সবাই। পরের টেস্টেই তাই ফিরে আসবে সবাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।