মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম) কম্যান্ডার ইন চিফ পরেশ বরুয়া পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। এমনটাই দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশের। যদিও উলফা সূত্রে এখনও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
সূত্রের খবর, মায়ানমার চিন সীমান্তে ১০-১২ দিন আগেই একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন পরেশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে খবর। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, ৪৮ ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও উলফার একটা অংশের দাবি, শীর্ষ নেতার সঙ্গে শনিবার পর্যন্ত তাদের কয়েক জনের যোগাযোগ হয়েছে। সেই সময় অসুস্থ ছিলেন পরেশ। তবে, মারা যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই ওই অংশের দাবি।
অসম পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পরেশ বরুয়ার মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দা সূত্রেও জানানো হয়েছে, এই খবর তাদের কাছে এসেও পৌঁছেছে। যদিও ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই উলফা নেতার পরিবারের কাছে এই ধরনের কোনও খবর আসেনি বলে জানানো হয়েছে অসম পুলিশের তরফে।
উলফা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরেশ বরুয়া বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ওই দুর্ঘটনায় তার কোমর ও পায়ে চোট লাগে। তিনি জখমও হন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মায়ানমার-চিন সীমান্তে রুইলি এলাকায় থাকেন পরেশ বরুয়া। সম্প্রতি ওই নেতার ক্যাম্প থেকে আসা এক আত্মসমর্পণকারী উলফা ক্যাডারের কাছ থেকে জানা যায়, ডায়াবিটিসের জন্য পরেশের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। ডায়াবিটিস থাকায় আহত পরেশের শারীরিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে উলফা সূত্রে।
এর আগেও বেশ কয়েক বার পরেশ বরুয়ার মৃত্যু ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই সব খবর ভুল প্রমাণিত হয়। প্রতি বারই উলফার তরফে দাবি করা হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল খবর রটানো হয়েছিল। চিন-মায়ানমার সীমান্তে গাড়ি দুর্ঘটনায় পরেশ বরুয়ার মৃত্যুর খবরটি এ বারও ভুয়ো বলে জানিয়েছে উলফার একটি সূত্র। উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া জানিয়েছেন, “পরেশ বরুয়া মারা গিয়েছেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। একমাস আগেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পায়ে আঘাত লেগেছিল এবং তিনি এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছিলেন আমাকে।”সূত্র: সেন্টিনেল আসাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।