বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্মিত শিবচর কমিউনিটি সেন্টার ৫ বছরেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের নির্মাণ ত্রুটি ঢাকতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিনা টেন্ডারে ৩৩ লাখ টাকার সংষ্কার কাজ শুরু করেছেন জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলছেন টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন যোগদান করায় তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে মাদারীপুর জেলা পরিষদ ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শিবচরে দ্বি-তল ‘মার্কেট-কাম-কমিউনিটি সেন্টার’ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে ছিলেন জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম। ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রথমে এ ভবন ‘মার্কেট-কাম-কমিউনিটি সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহারের কথা থাকলেও নির্মাণকাজ শেষ হলে ভাড়া দেয়া হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও ব্যবসায়ীদের কাছে। ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শিবচর ‘মার্কেট-কাম-কমিউনিটি সেন্টার’ নির্মাণের ৫ বছর যেতে না যেতেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে এবং পলেস্তরা খুলে পড়া শুরু হয়। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করায় মাত্র ৫ বছরের মধ্যে বিল্ডিং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ঝুঁকি এড়াতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ মাদারীপুর জেলা পরিষদকে লিখিতভাবে অবহিত করে। এতে জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম নড়েচড়ে ওঠেন এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ ঢাকতে ২০১৮ সালে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই বিনা টেন্ডারে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার সংষ্কার কাজ শুরু করেন। সংস্কার কাজে তার পছন্দের এক ঠিকাদারকে নিয়োগ দেন তিনি। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, মো. আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে মাদারীপুর জেলা পরিষদে কর্মরত রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি শিবচরে দাদা ভাই উপ-শহরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ৫ কাঠার একটি প্লট কিনেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোনো ভবনে ৪/৫ বছর পর সংস্কার করার নিয়ম আছে। আমি নিয়মের বাইরে কিছুই করিনি। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোনো কাজ করা যায় না। কমিউনিটি সেন্টারে যে সকল সংস্কার কাজ করা হচ্ছে, তার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। তাই আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোনো অভিযোগ সঠিক নয়।’
মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি, তাই সব বিষয়ে এখনো অবগত হতে পারিনি। চেয়ারম্যান মহোদয় এ বিষয়ে হয়তো ভালো বলতে পারবেন। আপনারা (সাংবাদিকদের) ওনার কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।