বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
র্যাব পরিচয়ে অপহরণ ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানী থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। চক্রটি অপহরণ করে লোকজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কাসেম ওরফে জীবন (৫৮), ইব্রাহিম খলিল (৪০), জাকির হোসেন সুমন (২৭), বিল্লাল হোসেন ওরফে আসলাম (৩২), আব্দুল মান্নান (৫০), সোহাগ (২৭) ও আরিফ (২৮)।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, রোববার দিবাগত রাতে খিলক্ষেতের কাওলা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, দুটি হ্যান্ডকাফ, একটা ওয়াকিটকি সেট, দুটি র্যাবের জ্যাকেট, একটি র্যাব বোর্ড, দুটি সিগন্যাল লাইট, ৬টি বড় লাঠি, দড়ি, ৪টি চোখবাঁধার কালো কাপড়, ২৮ হাজার টাকা ও একটি কালো গ্লাসের মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার হওয়া চক্রের মূলহোতা কাশেম ওরফে জীবন। দলের স্থায়ী সদস্য ১০/১১ জন। চক্রটি বিভিন্ন হাইওয়েতে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অপরাধ করে। এই চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহককে টার্গেট করে অপহরণ করে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। প্রথমে তারা গ্রাহক সেজে ব্যাংকে প্রবেশ করে। অপর একটি দল তাদের তথ্যানুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে অবস্থান করে। ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকার উত্তোলনকারী একজনকে তারা টার্গেট করে। তিনি যখন টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হন, তখন ব্যাংকের ভেতরে থাকা গ্রুপটি বাইরে থাকা গ্রুপটিকে তাকে দেখিয়ে দেয়। এভাবে গ্রাহকের গতি অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে টার্গেট ব্যক্তিকে চোখ বেঁধে সব কিছু হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বরে দুটি ও অক্টোবরে ১১টি অপহরণ করেছে এই চক্রটি।
কেরানীগঞ্জের গরুর খামারী দেলোয়ার ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা উঠিয়ে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় চক্রটি তাকে অপহরণ করে। অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রফিক বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ফেরার সময় কুমিল্লার চান্দিনা থেকে গাড়িতে তুলেই আমার চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে মারধর করে। অপহরণকারীদের সবার গায়ে র্যাবের জ্যাকেট ছিল। আমি তাদের কাছে সব টাকা দিয়ে দেই, যাতে আমাকে প্রাণে না মারে। এ সময় আমি আমার সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্রটি ফেরত দিতে বললে তারা আমাকে বলে- এ রকম আর্মি পুলিশ কত ক্রসফায়ারে দিলাম। তখন তারা আমার টাকা কেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে আমাকে ফেলে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।