গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সারাদেশের শত শত নদীমৃত্যুর জন্য দায়ী আমাদের সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের মতে, নদীকে বেঁধে ফেলে নিয়ন্ত্রণের অতি মারাত্মক আকাঙ্খা। ফলে নদী ও হাওড়ের তলা ভরাট হয়েছে, পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, সামান্য বর্ষা বা পাহাড়ি ঢলেই প্লাবন বয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, অথচ বাঁধ নির্মাণে ও পূনঃনির্মাণে সকল ধরনের অনিয়মের চলে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দূর্ণীতি ও গাফিলতির মাধ্যমে তৈরি বাঁধ ভেঙ্গে হাওড়বাসী আজ সর্বঃস্বান্ত! হাওড় অঞ্চলকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা কর; পরিবেশও সম্পদ বিনাশী ‘উন্নয়ন’ বন্ধ কর এক নাগরিক সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীন ভয়েস, হাওড়অঞ্চলবাসী, আইনের পাঠশালা, ভাটিবাংলা সংস্কৃতি পরিষদ ও বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল এর যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট ও বাপা’র সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক ও গ্রীন ভয়েস’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ আলমগীর কবির, প্রকৌশলী ম. এনামুল হক, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ড. মাহাবুব, যুগ্মসম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন প্রমুখ। এছাড়াও সমাবেশে হাওড় এলাকার বাসিন্দাগণসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বন্যা-পাহাড়ি ঢলের কারণে কৃষকদের চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়বাসীর দাবি তাদের ফসল রক্ষা, বাঁধ নির্মাণে ও পূনঃনির্মাণে সকল অনিয়মের অবসান, অথচ তা হয়নি। আব্দুল মতিন বলেন, নদীমৃত্যুর জন্য দায়ী আমাদের সরকারসমুহের নদীর প্রতি ভুল দৃষ্টিভঙ্গী, নদীকে বেঁধে ফেলে নিয়ন্ত্রণের অতি মারাত্মক আকাঙ্খা। তার ফলে নদী ও হাওড়ের তলা ভরাট হয়েছে, পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, সামান্য বর্ষা বা পাহাড়ি ঢলেই প্লাবন বয়ে যাচ্ছে, বাঁধের উপর দিয়ে কিংবা বাঁধে ফাটল সৃষ্টি করে। অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, গত সপ্তাহে বাঁধ ভেঙ্গে হঠাৎ আগাম বন্যার কারণে হাওড় অঞ্চলের ৭ জেলায় ইরি-বোরো ফসল তলিয়ে গেছে, এতদাঞ্চলের পুরোটাই পানির নীচে। দেশের মোট উৎপাদিত ধানের এক পঞ্চমাংশ আসে হাওড় থেকে। এই বন্যা থেকে কৃষকের ফসল রক্ষা করার জন্য সরকারি অর্থে যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলো অকার্যকর হওয়ায় এবং তা সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পূণনির্মাণ ও সংস্কার না করায় কৃষকেরা এই ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।