মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসিয়া বিবি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়কে সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন পাকিস্তানের শক্তিশালী ইসলামপন্থি দল জমিয়ত উলেমায়ে ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান। সম্প্রতি মৃতুদন্ডের রায় পাওয়া আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাস দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় বাতিল করা না হলে দেশজুড়ে সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাওলানা ফজল। শুক্রবার পেশোয়ারের এক র্যালিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন,আসিয়া বিবির এই রায়কে কার্যকর করলে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে হবে।
ফজল আরো বলেন, আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফাঁসি দিয়েছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন, যা আমরা কখনোই মানি না। তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে নেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা কিভাবে মেনে নিবো। আমাদের দেশ একটি সার্বভৌম দেশ। আমরা বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের আদেশ মানি না।
কিন্তু পিটিআই শাসিত সরকার যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কাছে নতি স্বীকার করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হতে পারে বলে এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন।
তিনি আরো বলেন, বৃটিশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে আসিয়া বিবির এ রায়কে প্রশংসা করা হয়েছে। সুতরাং এটি ¯পষ্ট যে, এ রায় অন্য কোনো জায়গা থেকে এসেছে। আর আমাদের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সব সন্দেহ দূর করে দেয়। পাকিস্তান মূলত একটি ইসলামিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা অন্য কোনো দেশকে মানব না। আমরা যদি তা করি, তাহলে আমাদের সংবিধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেইউআই-এফ এর নেতা আব্দুল গফুর হায়দারির নেতৃত্বে আসিয়া বিবির রায়ের বিরুদ্ধে একটি মিছিল পার্লামেন্ট ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে অবস্থান নেয় শুক্রবার। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হায়দরি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সমগ্র জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।