বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাছ গোশত সবজি পেঁয়াজ আদা থেকে শুরু করে সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাছের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে আসছে শীতের সবজিও। তবে দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। গতকাল শুক্রবার নগরীর কয়েকটি কাঁচাবাচার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে বাজারে উত্তাপ বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দামও। চীন থেকে আমদানি করা আদার কেজি ২০০ টাকায় উঠেছে। বাজারে পুরান আলু ছাড়া ৪০ টাকার নিচে কোন সবজি মিলছে না। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা স্বল্প আয়ের লোকজন।
সবকিছুরই দাম বাড়ছে। বাজারভেদে জিনিসপত্রের দামের তারতম্যও রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। হাটবাজারে মাছের সরবরাহও বেড়ে গেছে। তবে দাম পড়ছে না। বেড়েছে ইলিশের সরবরাহও। ঝাটকা সাইজের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। কোরাল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, লইট্টা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাইজভেদে চিংড়ি মাছ ৫০০ থেকে ৭০০টাকা, শোল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০টাকা, রুপচাঁদা ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাটা মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রেয়াজুদ্দিন বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরা পড়ছে। বাজারে সরবরাহও বেড়েছে। দাম ধীরে ধীরে আরও কমবে।
মাছের সাথে পাল্লা দিয়ে গোশতের বাজারেও উত্তাপ বেড়েছে। গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালিকার দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু গোশত হাড়সহ ৪৮০ থেকে ৫০০ এবং হাড় ছাড়া ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা, খাসি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, অবরোধ চলাকালেই মুরগির দাম বেড়ে যায়, তা এখনো অব্যাহত আছে। ডিমের দাম ১০০ টাকার উপরে স্থির রয়েছে।
বাজারে শীতের সবজি আসছে। তবে দাম পড়ছে না। নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৮০ থেকে ১০০টাকা, গাজর ১০০টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৮০ থেকে ৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের সবজি আসলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ নাগাদ সরবরাহ বাড়লে দাম পড়বে বলে জানান তারা।
পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল ভারতীয় পুরাতন পেঁয়াজ ৪০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় উঠেছে। রসুনের দাম আগের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। ভালমানের রসুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৭০ টাকা বেড়েছে। চীন থেকে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। দেশি আদা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আদা পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। এ কারণে দাম বাড়ছে। মসুরের ডালের দামও বাড়তি। ভালমানের মসুরের ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চা পাতার দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সব ধরনের চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে গড়ে এক টাকা বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।