Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়া -ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ জন নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে বন্দুকযুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট, দৌলতপুর উপজেলার মুসলিমনগর এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ বিদেশী পিস্তল, গুলি, চাপাতি, ১৫শ’ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। ওই সময় পুলিশের ৮জন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতদের মধ্যে ২ জন মাদক ব্যবসায়ী ও একজন ডাকাতের সর্দার ছিলেন। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছেন বলে জানান আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ২জন মাদক ব্যবসায়ী পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে এবং সদর উপজেলার কবুরহাটে পৃথক দু’টি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২জন নিহত হয়েছে।
দৌলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দু’দল মাদক ব্যবসায়ী’র মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’’ খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মদন (৪৫)। সে দৌলতপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশী মামলা রয়েছে।
অপরদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন জানান, দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদরাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দুইদল মাদক ব্যবসায়ী গোলাগুলি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্ল­াশী করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন। পরে গতকাল বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে শনাক্ত করেন নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম আজম (২৫)। তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
এদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আজমের ছোট ভাই সবুজ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, মদন ও আজম মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে একই মোটরসাইকেল যোগে কেডিআই বিশ্ববাঁধ এলাকায় মাদক কেনা বেচার টাকা নিয়ে ফেরার পথে সেখান থেকে দৌলতপুর থানা পুলিশ তাদের তাদের আটক করে। পরে রাতে তাদের পৃথক স্থানে গুলি করে হত্যা করে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে চালায়।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ভালুকায় উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন (৩৭) এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন।ভালুুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে উপজেলার কাদিগড় এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই স্থানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উপজেলার আংগারগাড়া গ্রামের ফালান বাছেদের ছেলে আনোয়ার পালাতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আনোয়ার হোসেন তালিকাভুক্ত একজন ডাকাত । তার নামে ভালুকা, শ্রীপুর, জয়দেবপুরসহ আরও কয়েকটি থানায় ডাকাতি, নারী নির্যাতন, মাদকের ১৫টি মামলা রয়েছে এর মাঝে ৯টিতে ওয়ারেন্ট রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ