পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্লাসফেমির দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবির সাজা বাতিল করেছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল সকালে এই রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সাহসিকতামূলক পদক্ষেপ আখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। তবে ব্লাসসফেমি আইন কঠোর করার দাবিতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন দল এতে হতাশা প্রকাশ করেছে। করাচীসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।
৪৭ বছর বয়সী খামার শ্রমিক আসিয়া তিন সন্তানের জননী। ২০০৯ সালে খামারে কাজ করার সময় এক গরমের দিনে মুসলিম শ্রমিকদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে পানি খাওয়ায় তার মুসলিম সহকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা দাবি করে, আসিয়া যেহেতু মুসলিম নন, সেক্ষেত্রে গ্লাসটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে, সেটি ব্যবহার করা যাবে না। আসিয়াকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার দাবি জানায় তারা। তা প্রত্যাখ্যান করেন আসিয়া। সে সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে মুসলিম শ্রমিকরা দাবি করে, আসিয়া বিবি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। আসিয়া বিবি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে বলে স্বীকার করলেও তার দাবি, তিনি ধর্ম অবমাননাকর কিছু বলেননি।
২০১০ সালে পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনে দেশটির প্রথম নারী হিসেবে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এমনকি পাকিস্তানেও তার পক্ষে দাঁড়ান অনেকে। তবে এদের মধ্যে অন্তত দুইজনকে তাদের অবস্থানের কারণে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। আসিয়া বিবির পক্ষে কথা বলায় পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে তারই দেহরক্ষী হত্যা করে। আর সেই দেহরক্ষীকে পাকিস্তানে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
দীর্ঘ বিলম্বের পর গতকাল বুধবার বিচারপতিরা জানান, আসিয়া বিবি দোষ করেছেন এমন কোনও শক্ত প্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়নি। পর্যবেক্ষকদের উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যে তিনজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে তারাও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিসার বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো খারিজ করা হচ্ছে। অন্য কোনও অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজন না পড়লে তিনি অবিলম্বে মুক্তি পাবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।