দিনমান রোদের দেখা মিলেনি। আকাশতলে ঘনঘোর মেঘ। সূর্য গেছে পাটে। ঝিরি ঝিরি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। হিমেল হাওয়া। আর এভাবেই গতকাল (সোমবার) মধ্য-কার্তিকের দিনটি কেটেছে দেশের অধিকাংশ স্থানে। আজও (মঙ্গলবার) আকাশ মেঘলাসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা কিংবা গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে হেমন্তের আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। এ বৃষ্টির পর ক্রমে তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বিরাজ করছে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর দ্বিমুখী প্রভাবে সাগর থেকে আসা মেঘ-বাদল জমে ওঠে বৃষ্টির আবহ তৈরি হয়েছে এই হেমন্তের অসময়ে। সূর্য মেঘের আড়ালে চলে যাওয়ার ফলে গরমের স্বাভাবিক তেজ নেই। সূর্যকিরণও মন্দা।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ৫৫ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ২, চট্টগ্রামে ২৯, কুমিল্লায় ৪, নোয়াখালীতে ৭, কক্সবাজারে ৪৯, শ্রীমঙ্গলে ২, যশোরে ৩, বরিশালে ৫ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগে তেমন বৃষ্টি হয়নি। রাজশাহী বিভাগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া ও ডিমলায় ৩০.৫ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর বিভাগে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।