বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘স্ট্রোক আমাদের থামাতে পারেনি’ শ্লোগানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’। গতকাল (সোমবার) কলেজের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে সভা আয়োজন করা হয়। চমেক শিক্ষক সমিতির সহায়তায় নিউরোলজি ও নিউরোসার্জারি বিভাগের উদ্যোগে সভায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ও নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মোঃ হাসানুজ্জামান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। সীমিত সম্পদের মাঝেও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ট্রোক যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের একজন রোগী চিকিৎসার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, কিন্তু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সেটি ঘটে না। তাই স্ট্রোকমুক্ত জীবন গড়তে প্রয়োজন সচেতনতা।
সভায় নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. এল এ কাদেরী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। এতে রোগীরাও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আড়াই গুণ বেশি। ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা বেশি স্ট্রোক আক্রান্ত হন। আবার যাদের ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস দুটোই আছে তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। আক্রান্তদের স্ট্রোকের ধরণ চিহ্নিত করে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া গেলে তাদের সারিয়ে তোলা সম্ভব বলে জানান তিনি। আর এজন্য স্ট্রোক ইউনিটের পাশাপাশি আধুনিকমানের অস্ত্রোপচার যন্ত্রপাতি এবং আইসিইউ সুবিধাও দরকার।
ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, স্ট্রোকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আইভি থ্রম্বোলাইসিস ও থ্রম্বেক্টমি। উন্নত বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রোগী এই সুবিধা পেতে পারেন। বিদ্যমান চিকিৎসা পদ্ধতির সঠিক ও সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে বেশিরভাগ স্ট্রোক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
কলেজের অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাপস মিত্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. জামান আহম্মদ, নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ মঈনুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এম এম এহসানুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম, ডা. আনিসুল ইসলাম খান, ডা. রবিউল করিম, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল আলম। পরে জনসচেতনতামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।