বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) জুলাই-জুন সময়ে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই ঋণ ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। এই সময়ে শিল্পঋণের বড় একটি অংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে শিল্পখাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। আবার আগের বিতরণ করা ঋণের মধ্যে থেকে আদায় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ বিতরণ বেড়ে যাওয়া একটি ভালো দিক। কারণ বিনিয়োগ বাড়ছে। আবার খেলাপি বেড়ে যাওয়াও একটি খারাপ দিক। তবে শুধু বড় আকারের শিল্পকে গুরুত্ব দিলে হবে না। সব ধরনের শিল্পকেই গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া শিল্প খাতে আগের বছরের তুলনায় এ বছর খেলাপি ঋণ একটু বেশি বেড়েছে। মূলত ৬ মাসের বকেয়া পড়লেই তাকে আমরা ঋণ খেলাপি হিসেবে বিবেচিত করবো। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। বিশেষ করে বড় ঋণ খেলাপিদের গুরুত্ব সহকারে দেখছে। পাশাপাশি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি তৎপর হতে পরামর্শ দিচ্ছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচিত অর্থবছরে বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ৭০ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ হয়েছে। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই ঋণ ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। আলোচিত বছরে ২০১৭-১৮ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৭৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।
এদিকে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত অর্থবছরে জুলাই-জুন সময়ে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় শিল্পে মোট খেলাপি ঋণের পরিমান ৩৮ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০১৬-১৭) একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বা ৭ হাজার ৯৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি। আলোচ্য সময়ে আগের অর্থবছরের চেয়ে শুধু বড় শিল্পে খেলাপি ঋণের পরিমান বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যাতে মোট খেলাপির পরিমান দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মাঝারি শিল্পে ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে খেলাপির পরিমান দাড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৬০ কোটি ৮৮ লাখ এবং ছোট শিল্পে প্রায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকায়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, যে খাতের কথা বলে ব্যাংক ঋণ নেয় সেখানে অনেকেই আছে যারা ভিন্ন খাতে এ টাকা খরচ করে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই খেলাপি হয়। আবার অনেকে ১০-১৫ বছর ধরে ব্যবসা করতে করতে কোন এক সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন তারা খেলাপি হয়। দুই বিষয় এক নয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে চলতি মূলধন ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আর মেয়াদী ঋণে বকেয়া ঋণস্থিতি বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৮শ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, আলোচিত সময়ে শিল্পখাতে যে পরিমাণ খেলাপি ঋণ বেড়েছে তার মধ্যে রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। এছাড়া বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংকের ৪১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিদেশী ব্যাংকের ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের বকেয়া ঋণের পরিমান বেড়েছে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।