পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বর্তমানে মোট বিতরণ ঋণের ১১ শতাংশের বেশি খেলাপি। এটি ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম করফারেন্স হলে ব্যাংকার্স সভায় এ নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ দেশে কার্যরত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশের উপরে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই দ্রুত ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে প্রভিশন ঘাটতি কমাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা প্রদানে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া সভায় ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানো, খেলাপি হওয়া ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখাসহ বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) সভাপতি ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সভায় খেলাপি নন পারফোরমেন্স লোন (এনপিএল) কমাতে বিশেষ জোর দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খেলাপি আদায়ে তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত জুনে আট লাখ ৫৮ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, বা ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এবিবির সভাপতি জানান, খেলাপি কমাতে সভায় ব্যাংকাররা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চান। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কীভাবে আইনি সহায়তা করা যায়, এ বিষয়ে ল-কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচনা করবে। তাদের পরামর্শের আলোকে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি জানান, বৈঠকে ক্যাশলেস লেনদেন আরও বাড়ানোসহ গ্লোবাল ও লোকাল ইকোনোমি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া যেসব ব্যাংক প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে তা কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।