মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নম্বরে যায় চেনা। মানুষের দেয়া আধার কার্ডের মতো ভারতে জাতীয় পরিচয় নম্বর সম্বলিত কার্ড পাচ্ছে গরুও। নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশের প্রতিটি গরুকে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করতে নেমেছে। বারকোড দেওয়া সেই নম্বর কার্ড কানে ‘ট্যাগ’ করেও দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ আর আপত্তি করেনি। কারণ, কৃত্রিম প্রজননের তথ্যপঞ্জির সঙ্গে এই ‘নম্বর প্রদান’ কর্মসূচি যুক্ত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রণালয়। অর্থ বরাদ্দও দিল্লির। বার কোডযুক্ত নম্বর দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সায় দিয়েছে রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। পশ্চিমবঙ্গ গোসম্পদ বিকাশ সংস্থার তত্ত্বাবধানে চলছে সেই কাজ।
দফতরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “গরুর আধার কার্ড বলে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কৃত্রিম প্রজননের জন্য যে সব গরু চিহ্নিত হয়, তাদের ওই নম্বর দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই কাজ হচ্ছে বলে এত হইচই। রাজ্যজুড়ে প্রাণী সুমারিও শুরু হয়েছে। সেই তথ্যও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হওয়া দরকার।”
সরকারি সূত্রের খবর, আগেও কৃত্রিম প্রজনন হওয়ার পর গরুর কান ফুটিয়ে ট্যাগ লাগানো হত। তবে তাতে নম্বর থাকত না। সেই পদ্ধতি এখন আধুনিক হয়েছে। রাজ্যের ছ’হাজারের বেশি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পালকরা তাদের গরু নিয়ে আসেন। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪৪টি ব্লকে ৩৫৩৬ জন প্রাণীবন্ধুও একই কাজ করেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে গরুর দেহে বীর্যপ্রবেশ করানোর পর ওই গরুর কী হল, তা দেখার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এখন তা দেখা হচ্ছে।
প্রাণী সম্পদ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃত্রিম প্রজননের পর গরুর কানে একটি বারকোড যুক্ত কার্ড পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই তথ্য চলে যায় রাজ্য এবং দিল্লির কেন্দ্রীয় সার্ভারে। ২১ দিনের মাথায় ওই গরুর কথা জানতে চেয়ে বার্তা আসে প্রজনন প্রকল্পের কর্মী বা চিকিৎসকের কাছে। জানতে চাওয়া হয়, প্রজনন সফল কি না। তিন মাস পর আবার একটি বার্তা পাঠায় কেন্দ্রীয় সার্ভার। জানতে চাওয়া হয়, গরুটি গর্ভবতী হয়েছে কি না। ২৭৫ দিন পর শেষ বার্তায় জানতে চাওয়া হয়, বাচ্চা জন্মালো কি না, জন্মালে তা এঁড়ে না বকনা।
কৃত্রিম প্রজনন যাতে সফল হয়, সেজন্য এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা। তাদের মতে, আগে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার পর সেভাবে ফলোআপ হত না। এখন বারকোড দিয়ে চিহ্নিতকরণের ফলে তা সম্ভব হচ্ছে। আগে রঙ বা শিং দেখে গরু চেনা হত, এখন হচ্ছে নম্বরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।