Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোগাক্রান্ত আমন ক্ষেত দুশ্চিন্তায় কৃষক

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আমনক্ষেতে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপণ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সেচ দিতে কৃষককে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। তার উপর শীষ আসার আগ মুহুর্তে ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগে।

কৃষকদের অভিযোগ ক্ষেতে ব্যাপকভাবে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগ ছড়িয়ে পড়লেও তা প্রতিরোধে উপজেলা কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা বা পরামর্শ পাচ্ছেন না তারা। নিজ বুদ্ধি বা কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে ঔষধ প্রয়োগ করে প্রতিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। এমতাবস্থায় কাঙ্খিত ফলন নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের হাবিবপুর, কামালপুর, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী, বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই, কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার জমির আমন ক্ষেতে ব্যাপকভাবে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাবে ধানক্ষেতের অধিকাংশ গাছের পাতা পুড়ে মরে যাচ্ছে, পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাতার নিচের অংশের খোল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ক্ষেতের ধান পেকেছে কিন্তু কাছে গেলে স্পষ্ট হয় ক্ষেত রোগাক্রান্ত।

হাবিবপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষকরা জানান, চারা রোপণের পর কয়েক দফা সেচ এবং সঠিক পরিচর্যা করায় শুরু থেকে ক্ষেতের অবস্থা ভালই ছিল । কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগের আক্রমনে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। রাতারাতি বিবর্ণ হয়ে ধান গাছ মরে যাচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। কৃষি অফিসের কোন সহযোগিতা বা পরামর্শ তারা পাননি বলেও জানান।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশিদ জানান, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৮৪২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। কোন কোন আমন ক্ষেতে পাতা পোড়া ও খোল পঁচা রোগ আক্রমন করেছে এটা সত্য। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। কৃষকদেরকে ঔষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা না পাওয়ার বিষয়ে কৃষকদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, কৃষকদেরকে খুঁজে খুঁজে পরামর্শ দেয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেক এলাকায় আমাদের কেন্দ্র আছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেখানে প্রতি সপ্তাহে কৃষকদেরকে জড়ো করে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। কোন কৃষকের সমস্যা হলে সেখানে গিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ