পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবারের সবাই ব্যধিগ্রস্ত, পিতা-মাতা মৃতপথযাত্রী। চিকিৎসা করানোর সক্ষমতা নেই, রোগির সেবা শুশ্রুসা করারও কেউ নেই। চরম দুশ্চিন্তা, করুন আকুতি তাদের ভাষা। আর অন্ধকার ভবিষ্যৎ তাদের হাতছানি দিচ্ছে।
উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্রামে চরম হতাশাগ্রস্ততার মধ্য দিয়ে চলছে আঃ হামিদ গাজীর পরিবারের সদস্যরা। মৃত করিম গাজীর পুত্র হামিদ গাজী (৬৫) ৬ মাস আগে থেকে, তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৫) ২ বছর আগে থেকে রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তখন আমেনাকে একবার অপারেশন করা হয়েছিল। এখন ধরা পড়েছে মাতা (আমেনা) ক্যান্সার আক্রান্ত, পিতা (হামিদ) অজানা রোগে আক্রান্ত। তার খাদ্যনালী বøক হয়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাদেরকে খুলনা, ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন। দু’জনই শয্যাশায়ী। কেবল শয্যাশায়ী নয়, মরণ পথযাত্রী হয়ে পড়ে আছেন। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবাই দেখতে আসছে, আর ভাবছে কখন কার পরপারে ডাক পড়ে তা নিয়ে। যে কোন সময় তাদের মৃতসমন স্বাগত জানাতে পারে এমনটিই সবার মুখে মুখে ভাসছে। গরীব অসহায় পরিবারের সংসারে তাদের ৫টি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫) ও মেঝ ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৬) ঢাকায় গার্মেন্টস-এ চাকুরী করতো। পিতা-মাতা অসুস্থ হয়ে পড়লে চাকুরী ছেড়ে তারা বাড়িতে চলে আসেন। মাত্র ১০ কাঠা জমিই তাদের সম্বল। ওষুধ কেনার মত সামর্থ এখন তাদের নেই। এমন যখন পরিবারের পরিস্থিতি, ঠিক তখন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে- দুঃসংবাদ, পরিবারের বাকী ৫ সদস্য সবাই অসুস্থ এমন খবরে। পুত্র হাফিজুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম (২০) এবং কন্যা হালিমা খাতুন (৩২) ও ফাতেমা খাতুন (২৫) সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মেঝ ছেলে মাত্র ২ মাস আগে বিয়ে করেছেন। মেয়ে দুটি বিয়ে হলেও মাতা-পিতার খেদমত করতে পিত্রালয়ে এসে নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে দেখা শুনা করবে এমন কেউ অবশিষ্ট নেই। পাড়া-মহল্লাবাসীর ধারণা তাদের রোগ ছোঁয়াচে, তাই অনেকে যেমন তাদেরকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, আবার তেমনি পরিবারের সকলকে ভীত ও মনোবলহারা করে তুলছে।
এ মুহুর্তে তাদের পাশে থাকার জন্য মানুষ দরকার। দরকার চিকিৎকদের সুপরামর্শ আর ভীতিকর কিছু নয় এমনটি জানিয়ে মনোবল বৃদ্ধি করা। গোটা পরিবার যেখানে অসুস্থ, সেখানে চিকিৎসা খরচ ও সেবা শুশ্রুসা করার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। সাথে সাথে লম্বা চিকিৎসার ব্যয় বহুল খরচ যোগাতে দরকার সরকারি, বেসরকারি ও সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সহৃদয় ব্যক্তিবর্গ তাদের পাশে থাকবেন এমনটি কামনা তাদের। ছলছল চোখে পিতা-মাতার একরাশ সহযোগিতার আকুতি না দেখলে বোঝানো যাবেনা। সাথে সাথে পরিবারের পুত্র-কন্যারা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আপনার সহযোগিতায় পরিবারটি হয়তো নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। তাই সহযোগিতা ও যোগাযোগের জন্য হাফিজুল ইসলামের মোবাইল ০১৭৮৫৭৫৮৪০১ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরিবার ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।