মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ভারত। যদিও ইমরান খানের সরকার যে কোন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী অস্ত্রের হুমকি মোকাবেলায় পাকিস্তানের সক্ষমতার ব্যাপারে আস্থা প্রকাশ করেছে।
সুইডেনভিত্তিক সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইন্সটিটিউটের (সিপ্রি) হিসাবে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের হাতে ভারতের চেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র ছিলো। ভারতের পারমাণবিক ওয়ারহেড সংখ্যা ১৩০-১৪০টির মতো হলেও পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৪০-১৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড।
ইসলামাবাদভিত্তিকে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (সিআইএসএস) সিনিয়র ফেলো অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার ড. নাইম সালিক মনে করেন, ওয়ারহেড সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ইসলামাবাদকে আরো ক্ষেপনাস্ত্র অর্জনের প্রতি মনযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, একেবারে সাধারণ জবাব হলো ক্ষেপনাস্ত্র ও পারমাণবিক ওয়ারহেড সংখ্যা বাড়ানো। ভারতের মতো একই ধরনের ব্যবস্থা পাকিস্তানের জন্য যথাযথ হবে না। কারণ, পাকিস্তানকে নিশ্চিত করতে হবে তার হাতে থাকা ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যেন প্রত্যাশিত টার্গেটে আঘাত হানতে পারে।
এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের কৌশলগত নিরাপত্তাহীনতার জন্য মহৌষধ বলেও মনে করেন না এই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, বলা হয় যে এস-৪০০ এর বাধা দান ক্ষমতা ৫০-৭৭ শতাংশ। এটা যদি ৮০ শতাংশও হয়, তার মানে হলো প্রতি ১০টি ক্ষেপনাস্ত্রের দুটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ভেদ করতে পারবে। আর ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যদি পারমাণবিক ওয়ারহেডসম্পন্ন হয় তাহলে তা অপূরণীয় ক্ষতি করতে সক্ষম হবে। ফলে এই ব্যবস্থাকে পরাস্থ করতে বহু ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা রয়ে গেছে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের সিনেটর রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি বলেন যে, তার দৃঢ় বিশ্বাস এ চুক্তি পাকিস্তানকে কোনভাবেই দমাতে পারবে না। সিন্ধু প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সংখ্যালঘু সিনেটর ভঙ্কওয়ানি বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক সামর্থ্যের বিষয়টি আমার ভালোভাবে জানা আছে, যা সর্বাধুনিক এবং ভারতের প্রযুক্তিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে।’
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলে, ‘বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধকের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে জাতীয় প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
৪০,০০০ কোটি রুপিতে ভারতের পাঁচটি এস-৪০০ ব্যবস্থা কেনা নিয়ে পাকিস্তানে আরো বস্তুনিষ্ঠ মনোভাব রয়ে গেছে। ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের প্রতিনিধি উমর জামাল বলেন, ভারতের ক্রয়টিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে ইসলামাবাদ এবং এটি মোকাবেলা করা হবে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে ভারতের মোকাবেলায় পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানোর দাবি উঠলেও জামাল মনে করেন যে এই মুহূর্তে ভারতের মতো অস্ত্র কেনার সামর্থ্য কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কোন দিক দিয়েই পাকিস্তানের নেই। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সম্পদ বা কূটনীতি কোন দিক দিয়েই ভারতের এস-৪০০-এর মতো অস্ত্র কেনার সামর্থ্য পাকিস্তানের নেই। জামাল মনে করেন, এস-৪০০ যোগ করে পাকিস্তান ও চীনের কাছ থেকে আসা যে কোন হুমকি মোকাবেলা করতে ভারত সক্ষম হবে। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এই অঞ্চলে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে চলেছে। জামাল আরো বলেন, এই বড় আকারের ক্রয় পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে।
ড. সালিক তার আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে মনে করেন যে এস-৪০০ কেনার জন্য ভারতের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি ‘গলাবাজি’ মাত্র। তিনি বলেন, ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র কারণ তারা ভারতকে আবারো রাশিয়ার কক্ষপথে ঠেলে দিতে ও লোভনীয় অস্ত্রবাজার হারাতে চাইবে না। এরই মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতকে ছাড় দেয়ার ব্যাপারে অনেক বিবৃতি দিয়েছেন। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।