Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিবিআই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে অমিত শাহের পুত্র!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:৪০ পিএম

ভারতে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। রাতারাতি সংস্থাটির প্রধান ও উপ-প্রধানকে সরিয়ে দেয়া, তাদের পরষ্পর বিরোধী অভিযোগ ও শেষে হাইকোর্টের কঠোর অবস্থান নিয়ে বিব্রত দেশটির সরকার। রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে নাস্তানাবুদ ক্ষমতাসিন বিজেপি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হলো বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের নাম।
গত ২৩ অক্টোবর মাঝরাতের অপারেশনে সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পরে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, রাফাল দুর্নীতি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করাতেই তাকে সরতে হল। এই অভিযোগ নিয়ে শনিবার পথেও নেমেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রবিবার সিবিআইয়ের একটি সূত্র এবার দাবি করেছে, ছুটিতে পাঠানোর চার দিন আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ফাইল খুলেছিলেন বর্মা।
এ ঘটনায় কংগ্রেস এবার প্রশ্ন তুলেছে, বর্মাকে তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠানোর এটাও কি কারণ? জয় শাহের দুর্নীতির তদন্তে অনেক সত্য বেরিয়ে আসতে পারে আশঙ্কা করেই কি তাকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে ক্ষমতা দেওয়া হল সরকারের ঘনিষ্ঠ অফিসারের হাতে?
জয় শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪-১৫ সালে তার সংস্থা শাহ টেম্পল এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের লাভের পরিমাণ ছিল ১৮,৭২৮ টাকা। পরের বছর তা বেড়ে হয় ৮০.৫ কোটি। বিষয়টি যায় আদালতে। মানহানির মামলাও হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে কর্নাটকে এক জনসভায় রাহুল বলেন, এই দুর্নীতির পিছনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত আছে।
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে অমিত শাহ অবশ্য দাবি করেন, তার ছেলে নিয়ম মেনেই ব্যবসা করেন। সরকারের সঙ্গে তার কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন নেই বা সরকারের কাছ থেকে তিনি এক ছটাক জমিও নেননি।
কংগ্রেসের বক্তব্য, জয়ের দুর্নীতি সম্পর্কে ১০ জন অভিযোগকারীর একটি আবেদন সিবিআই প্রধানের কাছে এসেছিল। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছিলেন বর্মা। তাতেই প্রমাদ গোনে বিজেপি। তদন্ত যাতে শুরু না হয়, তা নিশ্চিত করতে বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় শাসক শিবির। কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ঘভির দাবি, “আমাদের কাছে খবর আছে রাফাল, ব্যপমের মতো অমিত শাহের ছেলের ফাইল নিয়েও নড়াচড়া শুরু হয়েছিল।”
এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “কংগ্রেস যে ভাবে বর্মার হয়ে কথা বলছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে বর্মাকে তারা দলের অ্যাকটিভিস্ট বানাতে চাইছে। সিবিআই প্রধানকে এ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাটা ঠিক নয়।” তবে একাধিক বার ফোন করেও বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সূত্র: আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিবিআই কেলেঙ্কারি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ