মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বোমা ও গোলাবারুদ দিয়ে চালানো সশস্ত্র হামলায় বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কেবল গত বছর ২০১৫ সালেই বিশ্বজুড়ে বোমা ও গোলাবারুদ দিয়ে চালানো হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। এ সংখ্যা ৫ বছর আগে এ ধরনের হামলায় হতাহতের সংখ্যার চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। এছাড়া গত বছর বোমা ও গোলাবারুদ দিয়ে চালানো হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মঘাতী হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে আত্মঘাতী হামলায় ৯ হাজার ২শ’ ৫ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। এ সংখ্যা ২০১৪ সালের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি। অবশ্য হতাহতের সংখ্যা বাড়লেও ২০১৪ সাল ও ২০১৫ সালে আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা একই- ২৫৩টি। ২০১৫ সালে ২১টি দেশে আত্মঘাতী হামলা সংঘটিত হয়েছে যা সংখ্যার দিক দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ। দেশগুলো হলো- নাইজেরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া, ইয়েমেন, শাদ, ক্যামেরুন, পাকিস্তান, লেবানন, কুয়েত, ফ্রান্স, সৌদি আরব, সোমালিয়া, লিবিয়া, মিসর, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মালি ও তিউনিসিয়া। এ বছরই আত্মঘাতী হামলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এমন একটি দেশ হলো ফ্রান্স। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে ইয়েমেনে অভিযানে থাকা সউদি নেতৃত্বাধীন জোট। কেবল বোমা ও গোলাবারুদের ব্যবহারই নয়, আত্মঘাতী হামলায়ও বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১১ সালে আত্মঘাতী হামলায় হতাহত বেসামরিকের সংখ্যার চেয়ে ২০১৫ সালে একই ধরনের হামলায় হতাহতের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বেশি। দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্স (এওএভি) এর এক জরিপের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে। বিমান থেকে ফেলা বোমা, মর্টার শেল, আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এবং গোলাবারুদের হামলায় নিহতদেরই মূলত এ জরিপের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে চালানো হামলায় প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যার ৭৬ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। গত বছর এ ধরনের ২ হাজারটি হামলা হয়েছে। ওই বছর সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তানে বিধ্বংসী অস্ত্রের হামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। গত বছর এ ধরনের হামলায় কেবল সিরিয়াতেই প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে চালানো হামলায় কেবল গত বছর (২০১৫ সালে) হতাহতের সংখ্যা তুরস্কে ৭,৬৮২ শতাংশ এবং ইয়েমেনে ১,২০৪ শতাংশ বেড়েছে। এ দুটি দেশের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি দেশে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে ২০১৫ সালে এ ধরনের হামলায় হতাহতের সংখ্যা মিসরে ১৪২ শতাংশ, লিবিয়ায় ৮৫ শতাংশ, সিরিয়ায় ৩৯ শতাংশ এবং নাইজেরিয়ায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালে বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহারের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে সিরিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তানে। কেবল সিরিয়াতেই ৯ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বোমা ও গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে। এরপরেই রয়েছে সিরিয়া এবং সশস্ত্র সুন্নিপন্থী সংগঠন আইএসের নাম। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।