বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুধের ছানায় তৈরি হয় নানা প্রকারের মিষ্টি। সব শ্রেণির মানুষের কাছেই মিষ্টি প্রিয়। কিন্তু মিষ্টির প্রধান উপকরণ ছানা তৈরিতে আসল দুধের বদলে ব্যবহার হচ্ছে নকল দুধ। অনুমোদনবিহীন অস্বাস্থ্যকর গুঁড়ো দুধ ব্যবহার হচ্ছে ছানা তৈরিতে। আর সেই ছানা সরবরাহ করা হচ্ছে মিষ্টির দোকানে। এসব কারখানার কাজ চলে প্রত্যন্ত গ্রামে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচর গ্রাম। সেই গ্রামে অন্তত ১৫টি ছানা তৈরির কারখানা গড়ে ওঠেছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে ওঠে এসব কারখানা। অস্বাস্থ্যকর ছানা সরবরাহ করা হয় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইলসহ বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, এ এলাকার মানুষ ছানা তৈরির কারখানার দিকে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। জালাল উদ্দিনের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, দুধের অস্তি¡ত্ব না থাকলেও চুলায় চলছে ছানার কাজ। পাশেই ঝুলছে কাপড়ে মোড়ানে ছানা। পানি ছাড়ার জন্য ঝুলানো হয় ছানা। দুর্ঘন্ধে সেখানে থাকা কঠিন। জালাল উদ্দিন দাবি করেন, তিনি গুঁড়ো দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করেন না। গোয়ালা দুধ সংগ্রহ করে এনে তাকে ২০০ টাকা কেজি দরে ছানা দিয়ে যায়। ওই চুলায় ছানা তৈরি করছিলেন রবিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এক কেজি ছানা তৈরিতে প্রায় ৩ কেজি দুধ প্রয়োজন হয়।
আবদুস সামাদের কারখানায় গিয়ে গুঁড়ো দুধের বস্তার অস্তি¡ত্ব মেলে। আবদুস সামাদ বলেন, সব সময় গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করেন না। গুঁড়ো দুধ ৪২০ টাকা কেজি দরে কিনেন তারা। পরে এক কেজি দুধ দিয়ে ২ কেজি ছানা তৈরি করেন। সেই ছানা বিক্রি করেন ৬শ টাকায়। তিনি আরো বলেন, গাভীর দুধ দিয়ে এক কেজি ছানা তৈরি করতে নূন্যতম ৫ কেজি দুধের প্রয়োজন। লিটন মিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে ছানা তৈরির কারখানা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গুঁড়ো দুধ ক্ষতিকর। অনেকে গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করে ছানা তৈরি করে ২০০ টাকা কেজি দরে ছানা বিক্রি করে দেয়। ফলে অরজিনাল দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করলে কম দামে বিক্রি করা যায় না। তাই গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করে ছানা তৈরি করতে হয় তাদের। গিয়াস উদ্দিনের কারখার কাজ চলে গোয়াল ঘর ও টয়লেটের পাশে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, কারখানা গুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে ছানা তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।
ঈশ^রগঞ্জের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বেদেনা আক্তার বলেন, তিনি গত ৫ মাস আগে কারখানাগুলোতে গিয়েছিলেন। তখন অনুমোদন বিহীন গুঁড়ো দুধ তিনি পাননি। তবে নোংরা পরিবেশ থাকায় পরিবেশ ঠিক করার জন্য তিনি চার মাসের সময় দিয়ে এসেছিলেন। এলাকাটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।