পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট এম আবদুল হামিদ ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে মানবসম্পদ, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অবশ্যই আরো বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের মানব সম্পদকে প্রস্তুত করার জন্য অধিক বিনিয়োগ করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত পাচঁদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে বৈশ্বিক নেতাদের বিনিয়োগ সম্মেলনে এ কথা বলেন। ২২ অক্টোবর থেকে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপের জাতিসংঘ সদরদপ্তর জেনেভার প্যালেইস দ্যাস নেশন্সস-এ এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট তিনি অগ্রাধিকারভিত্তিক বিশেষ ইনসেন্টিভ প্রদানের মাধ্যমে গ্রীণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে অধিক বিনিয়োগ করতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদেরকে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশ্বায়নের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্প বিপ্লব এবং বিজ্ঞান আবিষ্কারে গতি আনতে বছরের পর বছর সময় লেগেছে। বিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির অসাধারন অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে যে যোগাযোগ বেড়েছে, তা পণ্য ও সেবা স্থানান্তরে বিপ্লব ঘটিয়েছে। তবে এর সুফল সকলের কাছে সমভাবে পৌছেনি। বিশ্বায়ন থেকে যাতে অধিকসংখ্যক মানুষ সুফল পেতে পারে, এ জন্য বিনিয়োগ নীতি সময়োপযোগি করার পরামর্শ দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত করার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, এলডিসি থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণের জন্য একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত আবিষ্কারভিত্তিক ব্যবস্থা রেখে আমাদের সহায়তা করার প্রয়োজন। আমাদের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা এবং টিআরআইপি চুক্তির ৬৬.২ ও ৬৭ ধারার ধারার আলোকে বেসরকারি এফডিআই থেকে প্রযুক্তি সহায়তা বৃদ্ধি আবশ্যক।
উন্মুুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও অনুধাবনযোগ্য কাঠামো গঠনের ওপর জোর দেন। তিনি আরো বলেন, এসব ও অনুরূপ অন্যান্য পদক্ষেপ এলডিসিতে আরো বেশি এফডিআই প্রবাহ নিশ্চিত করবে, যা ২০৩১ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যাপক সহায়তা দেবে।
প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ও দীর্ঘদিন এখানে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, এ বিষয়টি এদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক ক্ষতি করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ সম্প্রীতি ও অগ্রগতি বজায় রাখতে এখনো নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ করে তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং সটিক বিনিয়োগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০২১ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে মোঙ্গলিয়া ও মন্টিনিগ্রো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আঙ্কটার্ডের মহাসচিব মুখিসা কিতুই, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ ও বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ২২ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে জেনেভার কোয়েনট্রিন বিমান বন্দরে অবতরণ করে। বিমান বন্দর থেকে প্রেসিডেন্টকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে গ্রান্ড হোটেল কেমপিনস্কিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সুইজারল্যান্ড সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
ফোরামের এই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের নেতাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের সফর সমাপ্ত করে প্রেসিডেন্ট ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।