মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তান একটি অমিত সম্ভাবনার দেশ। এজন্য সেখানে বিনিয়োগকারীদের যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় এখন। সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত ‘ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ উদ্যোগ’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। সউদী রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজের বিশেষ আমন্ত্রণে তিনি এ সম্মেলনে যোগ দেন।
রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী (২৩-২৫ অক্টোবর) বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ চুক্তি ও সমযোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে। সম্মেলনে রাশিয়া, জাপান, জর্দান, আরব আমিরাত, পাকিস্তানসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি ও ব্যাবসায়িরা যোগ দিয়েছেন।
সম্মেলনের প্রথম দিনে দেয়া বক্তৃতায় ইমরান খান বলেছেন, তার দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য বৈদেশিক ঋণ প্রয়োজন। এছাড়া, পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সউদী বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি না আমরা বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো থেকে ঋণ সেবা না পাই, তবে বৈদেশিক বিনিময় হবে না অথবা পণ্য আমদানির জন্য অর্থ দিতে পারব না। সুতরাং ঋণ না পেলে অথবা বিদেশ থেকে বিনিয়োগ না আসলে আমরা সত্যি-সত্যিই সমস্যায় পড়ব।”
ভারতের সাথে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে তিনি আবারও ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন। তিনি সব প্রতিবেশী বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চান। তিনি বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ অপব্যায় না করে দুই দেশের মানুষের উন্নতির কাজে লাগানোর জন্য পাক-ভারত শান্তি প্রয়োজন।
সম্মেলনের পরে তিনি সউদী বাদশা সালমানের বিন আবদুল আজিজের সাথে তার প্রাসাদে সাক্ষাত করেন। সেখানে তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিষয়ে আলোচনা হয়।
ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড ঘিরে যখন বিশ্বের বহু দেশ ও সংস্থা সউদী আরবের এ বিনিয়োগ সম্মেলন বয়কট করছে তখন ইমরান খান তাতে যোগ দিলেন। সউদী আরব থেকে অর্থ বিনিয়োগ পাওয়ার আশায় এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি, অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা আবদুর রাজ্জাক দাউদ এবং পাক বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান হারুন শরীফ।
ক্ষমতায় আসার পর গত এক মাসের মধ্যে ইমরান খান এ নিয়ে দুইবার সউদী সফর করলেন। সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, যদিও খাশোগি হত্যাকাÐের ঘটনায় তিনি নিজে উদ্বিগ্ন তবু এ বিনিয়োগ সম্মেলন বয়কট করতে পারছেন না কারণ এ সম্মেলন থেকে ইসলামাবাদ অর্থ সহায়তা পেতে পারে। তিনি জানান, বর্তমানে পাকিস্তানে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে ইতিহাসে কখনো তা কখনো ছিল না। সূত্র: আরব নিউজ, জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।