পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জাসদ সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে ঢাকা মহানগর আদালতে নেয়া হবে
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম ইনকিলাবকে জানান, রংপুরের একটি মানহানির মামলায় উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।
আ স ম আব্দুর রবের ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের ১৪ নম্বর বাড়িটির আশপাশে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশের ৪টি ও পুলিশের দু’টি গাড়ি বাসার সামনে এসে অবস্থান নেয়। রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ব্যারিস্টার মইনুল বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এদিকে, রংপুর থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, নগরীর মুলাটোল এলাকার বাসিন্দা মিলি মায়া বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৫০০/৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। বাদীপক্ষে আইনজীবী আইনুল হোসেন আদালতে মামলাটি দাখিল করেন। এই আইনজীবী বলেন, আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আমরা আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছি। জেলা জজ আদালতের পিপি আবদুল মালেক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইলে বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি একাত্তর টিভির টক্শো চলাকালে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুলকে উদ্দেশ্যে করে প্রশ্ন করেন। ওই প্রশ্নে মাসুদা ভাট্টি বলেন- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনার উপস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন- আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন- আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন। এরপর ব্যারিস্টার মইনুল তাকে চরিত্রহীনা বলে মন্ত্রব্য করেন।
এই ঘটনার পরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানহানির মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরেকটি মামলা হয়। যদিও দু’টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল। গতকালও তার বিরুদ্ধে রংপুর, কুমিল্লা ও ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় মানহানির মামলা করা হয়। যদিও কুড়িগ্রামের মামলায় তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।
এদিকে, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে সরকার জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন।
মইনুল হোসেনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ড. কামাল হোসেন বলেন, এরপরও একের পর এক মামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনা নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। মইনুল হোসেন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন। মইনুল হোসেনের গ্রেফতার জাতীয় ঐক্যে প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আমরা জনগণের অধিকারের জন্য ঐক্য গড়েছি। সেখানে মইনুল হোসেনের মতো অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ভূমিকা রাখছেন। সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (আজ ) মামলার নথি দেখে আদালতে মুভ (শুনানি) করব। মইনুল হোসেনের জামিনের জন্য অবশ্যই আদালতে দাঁড়াবো।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে ছুটে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যারিস্টার মইনুলের মামা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে আসলেও অনুমতি না পাওয়ায় ভাগ্নের দেখা পাননি তিনি। এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মইনুলকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী তার আইনজীবীর জানার অধিকার আছে কিন্তু আমরা যখন তার গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে দেখা করতে আসলাম তখন আমাদের ডিবি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথাও বলতে দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।