Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্য উন্মোচনে অঙ্গীকার

ট্রাম্প-এরদোগান ফোনালাপে খাশোগি হত্যাকাণ্ড

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অনুসন্ধানী সউদী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ফোনালাপে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সত্য উন্মোচনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। শুক্রবার সউদী আরব স্বীকার করেছে, কনস্যুলেটের ভেতরেই নিহত হয়েছেন খাশোগি। মারামারির এক ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এ দাবিকে গ্রহণযোগ্য বলতে নারাজ বিশ্বনেতৃবৃন্দ। ইস্তাম্বুলে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে সকল সত্য প্রকাশ করবেন তিনি। কেন সেই ১৫ জন ইস্তাম্বুলে এসেছিল। সউদীর পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের বলতে হবে। স্পষ্টতই এতে সউদী আরবের এই বক্তব্য হুমকির মুখে পড়েছে। এরদোগান ঘোষণা করেছেন, খাশোগি হত্যা তিনি সবরকম দিক থেকে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যাখ্যা করবেন। রোববার তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার চাই। এই তদন্ত সব নগ্ন মিথ্যাচারের খোলস খুলে দেবে। খাশোগি হত্যার প্রেক্ষাপট পুরোপুরি উন্মোচন করা হবে। প্রসঙ্গত, খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তার হত্যাকাণ্ড প্রশ্নে সউদী পাবলিক প্রসিকিউটর শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা খাশোগিকে সউদী আরবে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা জারি ছিল। যখন খবর আসে বিয়ের জন্য কিছু নথিপত্র নিতে ২ অক্টোবর খাশোগি ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে যাবেন তখন জেনারেল আসিরি ১৫ সদস্যের একটি দল পাঠান এ ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা করতে। সেখানে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে খাশোগিকে বিধিবহির্ভূতভাবে খুন করে ফেলে ওই গোয়েন্দা স্কোয়াডের সদস্যরা। তবে তুরস্ক শুরু থেকেই বলে আসছে, তাদের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রবিবার টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে এরদোগানের। সেই আলোচনায় ঘটনার যাবতীয় দিক প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। আনাদোলু। এস-৪০০ মোকাবেলা করবে আবাবিল
ইনকিলাব ডেস্ক : আবাবিল দিয়ে ভারতের এস-৪০০ মোকাবেলা করা যাবে বলে পাকিস্তান সুনিশ্চিত। পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (এনসিএ) গত বছর আবাবিল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করে, যার এমআইআরভি সক্ষমতা রয়েছে। এই ব্যবস্থা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে পারবে বলে বলা হচ্ছে। এমআইআরভি সামর্থ্য অর্জনকে ‘পাকিস্তানের সামর্থ্যরে একটি অচলাবস্থা নিরসন’ হিসেবে বর্ণনা করে এনসিএ। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে বলে পাকিস্তান সতর্ক করে দিয়েছে। এরপরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির কার্যকারিতাকে খাটো করে দেখছে ভারতের চিরশত্রু দেশটি। ইসলামাবাদ বলছে তার হাতে যে ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা দিয়ে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা যাবে। পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স (বিএমডি) সিস্টেম কেনার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারই অংশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৌশলগত স্থিতিশীলতা নস্যাৎ হবে। ‘ত্রিয়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত। পাকিস্তান ও রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার মোকাবেলায় ভারতের করা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি এটি। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাশোগি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ