রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাঙ্গুনিয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে পাকা আমন খেতে বন্যহাতির তান্ডবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বন্যহাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সন্ধ্যার পর থেকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার চারটি ইউনিয়নে বিভিন্ন বিলে হানা দিয়ে ৩০ একর আমনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বন বিভাগ ও এলাকাবাসী দলবদ্ধ হয়ে রাত জেগে পাহাড়া, বৈদ্যুতিক বাতি জ্বেলে আলো ছড়ানো, ডাকঢোল, ফটকা ফাটিয়ে ও ফাঁকা গুলি চালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের নারিশ্চা বিটের আওতায় পদুয়া, শিলক, কোদালা ও সরফভাটা ইউনিয়নে শতশত একর জমিতে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। পাকা ধানের ঘ্রাণে ছুটে আসছে বন্যহাতি। ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। সাপরেজা, পদুয়া হরিহর, সরফভাটার বরখোলা পাড়া, কোদালা চা বাগান, শিলকের তৈলাভাঙ্গা বিল, খুরুশিয়া বিল ও পদুয়া মাতব্বর বাড়ি এলাকায় শতশত একর আমন ক্ষেতে প্রায় ৭০-৮০টি বন্যহাতি চার-পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে হানা দিচ্ছে। হাতির তান্ডব থেকে ক্ষেতের পাকা ধান রক্ষা করতে রাতে কৃষকের ঘুম নেই।
সাপরেজা পাড়ার করিম মেম্বারের বাড়ি এলাকায় গত শুক্রবার রাতে বন্যহাতির দল হানা দেয়। নারিশ্চা বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল মন্নান ও পোমরা বিট কর্মকর্তা মো. ইউনুছের নেতৃত্বে বন কর্মচারীরা ফাঁকা গুলি চালিয়ে হাতি তাড়ায়। নারিশ্চা বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল মন্নান বলেন, কৃষকের মাঝে চলছে বন্যহাতির আতঙ্ক। রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি বিলের কৃষকেরা ক্ষেতের ফসল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। হাতির তান্ডব থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা পালা বদল করে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকাবাসীর পাশাপাশি বন বিভাগের নারিশ্চা বিট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাতি তাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পদুয়া হরিহর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ করিম বলেন, প্রতি মৌসুমে ধান ক্ষেতে বন্যহাতির উৎপাত বৃদ্ধি পায়। বনাঞ্চলে খাদ্য সঙ্কট থাকায় বন্যহাতি লোকালয় ও ধান ক্ষেতে ছুটে আসছে। বেপরোয়া বন্যহাতি ক্ষেতের পাকা ধান খেয়ে এবং পায়ে পিষে সাবাড় করে। চলতি আমন ক্ষেতে ২০ একরের বেশি ধানক্ষেত সাবাড় করেছে। বন প্রহরী ইসমাইল হোসেন, বনমালী মো. হুমায়ন কবীর ও বাগানমালী মো. সেলিম জানান, হাতির পাল ১৫-২০টি করে বিভক্ত হয়ে চারটি ইউনিয়নে বিভিন্ন বিলে পৃথকভাবে হানা দেয়। যার কারণে বন বিভাগের লোকজন হাতি তাড়ানোর কাজে হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পদুয়া হরিহর ও সাপরেজা পাড়ায় ১৫ একরের বেশি আমন ধান সাবাড় করেছে বন্যহাতির দল।
পদুয়া ও সরফভাটা বরখোলা পাড়ার কৃষকরা জানান, ক্ষেতের ফসল রক্ষার জন্য বন বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে অনেকাংশে ক্ষতি কম হয়েছে। আরো দুই সপ্তাহ ধান ক্ষেত পাহারা দিতে পারলে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, ধানক্ষেত রক্ষায় বন বিভাগের লোকজন কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে বন্যহাতির পালকে লোকালয় থেকে ধোপাছড়ি বনাঞ্চলের দিকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।