Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইয়ারলুং সাংপো স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি অরুণাচল-আসামে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:০৮ পিএম

অবশেষে প্রলয়ের আশঙ্কা কাটল। ধসের জেরে ইয়ারলুং সাংপো নদীতে তৈরি হওয়া কৃত্রিম হ্রদ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। চিনের দেয়া খবরে অরুণাচল-আসামে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরে এসেছে, হড়পা বানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় জল কমিশনও জানিয়েছে, দেশের নদীগুলির জলস্তর স্বাভাবিক রয়েছে।
১৭ অক্টোবর সকালে তিব্বতের মিলিন এলাকার জিয়ালা গ্রামে পাহাড় ধস নামে। তার জেরে ইয়ারলুং সাংপোর গতিপথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক বাঁধ তৈরি হয়ে পুরোপুরি আটকে যায় নদীর গতিপথ। বাঁধের ওপারে নদীর পানি আবদ্ধ হয়ে গড়ে ওঠে কৃত্রিম হ্রদ। সেই কৃত্রিম বাঁধ যে কোনও সময় ভেঙ্গে গেলে পানি তীব্র গতিতে হড়পা বানের মতো নীচের দিকে নামতে পারে, এই আশঙ্কাতেই চিন সীমান্ত সংলগ্ন অরুণাচল ও আসামকে সতর্কবার্তা পাঠায় চিন।
অরুণাচলের টুটিং এলাকায় ভারতে ঢুকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর নাম হয় সিয়াং। সিয়াংয়ের সঙ্গে পরে লোহিত, রঙানদী ও অন্য নদী মিলে আসামের ধেমাজি পার করে প্রবাহিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে। সেই কারণেই ইয়ারলুং সাংপোয় জলোচ্ছ¡াস হওয়ায় অরুণাচলের টুটিং থেকে পাসিঘাট হয়ে আসামের ধেমাজি, লখিমপুর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়।
চিনের সতর্কবার্তা পেয়েই ভারতেও তৎপরতা শুরু হয়। সিয়াংয়ের দুই পাড়ের লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। এনডিআরএফের ৮টি দল, সেনাবাহিনী, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ-সহ নিরাপত্তা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল উজানি আসাম ও অরুণাচলে মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাত থেকেই পাসিঘাটে সিয়াংয়ের পানি বাড়তে শুরু করে। দেখা দেয় ঢেউ। পানি বিপদসীমার দিকে এগোয়। পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্বচ্ছ পানির স্রোত পাসিঘাটে পৌঁছয়। কিন্তু তার পরিমাণ যতখানি হবে ধরা হয়েছিল তার চেয়ে কম।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে চিন থেকে স্বস্তির বার্তা আসে। বেইজিং জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে বাঁধ উপচে পানি নীচে নামতে শুরু করে। সেই স্রোতের ধারায় প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া বাঁধের ওই মাটি-পাথরও নামতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে নদীর গতিপথ। তাই বড় কোনও বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই। এই বার্তার পরই স্বস্তি ফিরেছে অরুণাচল-আসামে। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অরুণাচল-আসাম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ