Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্ধ্যার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কাউখালী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পিরোজপুরে কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। নিজের এলাকা হলেও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কোনো খোঁজ-খবর রাখছেন না। আর তাই ভাঙন থেকে রক্ষায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করে নদী তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন আয়োজন করে কাউখালীবাসী। বক্তব্য রাখেন একেএম সাইফুর রহমান আলম, সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল, আহাসান হাবীব মিলন, জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।কাজী হারুন-অর-রশিদ বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে সোনাকুড় গ্রাম প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে গ্রামটির তিনভাগের প্রায় দু’ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ গ্রামে রয়েছে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এই গ্রামে মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে আজ নিঃস্ব।
তিনি জানান, গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টি বেশি বাড়ি, ২০টি দোকান ও একটি কাঠের ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে এক নম্বর সয়ন-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রঘুনাথপুর, সয়না, রোঙ্গাকাঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে।
২ নম্বর আমড়াজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্যগুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকাও ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন থেকে রোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলা বিলীন হয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ