Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফরাসি বাতিল বিমান যন্ত্রাংশ নিচ্ছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:৪৯ পিএম

ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সক্রিয় রাখার জন্য ডিসেম্বর থেকে ভারত ফ্রান্সের বাতিল বিমান থেকে যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করবে। প্যারিসের ৭০ কিলোমিটার দূরের চাতেয়াওদুন ঘাঁটিটি বিমান বাহিনীর বাতিল বিমানগুলোর একটি কবরস্থান বলা চলে। বাতিল এই বিমানগুলোর মধ্যে কয়েক ধরণের জাগুয়ার বিমানও রয়েছে।

বাতিলকৃত এই ফরাসি জাগুয়ার বিমানগুলো থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করবে ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরে যে ছয় স্কোয়াড্রন জাগুয়ার বিমান রয়েছে, সেগুলোকে সক্রিয় রাখার জন্য এই যন্ত্রাংশগুলো দরকার ভারতের। এই যন্ত্রাংশগুলো সংগ্রহ ও পরিবহনের ব্যায় ভারতকেই বহন করতে হবে। যদিও বাতিল বিমানগুলোর যন্ত্রাংশের জন্য কোন মূল্য নিচ্ছে না ফ্রান্স।

ভারতীয় বিমান বাহিনীই পৃথিবীর একমাত্র বাহিনী নয় যারা এখন বৃটিশ-ফরাসী জাগুয়ার বিমান ব্যবহার করছে। নির্মাতা দুই দেশ অবশ্য ২০০৫ সালেই এগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। ওমানের দুই স্কোয়াড্রন জাগুয়ার বিমান ছিল। সম্প্রতি তারা সেগুলো বাতিল করেছে। তাদের পাইলটরা এখন ইউরোফাইটার টাইফুন এবং এফ-১৬ বিমান ওড়াচ্ছেন। ইকুয়েডর এবং নাইজেরিয়ারও তাদের জাগুয়ার বিমানগুলো বাতিল করেছে।

বাতিল জাগুয়ার বিমানের যন্ত্রাংশের জন্য ব্রিটেন ও ওমানের সাথেও কথা বলছে ভারত। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্স সফরকালে বাতিল জাগুয়ার বিমানগুলোর ব্যাপারে কথা বলেন এয়ার চিফ মার্শাল বিরেন্দর সিং ধানোয়া। ফ্রান্স আর আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং ফ্রেন্স আরমি ডেল এয়ার ১৯৭৩ সালে প্রথম জাগুয়ার বিমান ব্যবহার করে। বোমা হামলা চালাতে সক্ষম এই জাগুয়ার বিমান ভারত প্রথম আমদানি করে ১৯৭৮ সালে। প্রথম ৩০টি তৈরি অবস্থায় কেনা হয় এবং বাকিগুলো চু্ক্তির অধীনে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডে তৈরি করা হয়।

ব্রিটিশ বা ফরাসী বিমান বাহিনীর চেয়েও দীর্ঘসময় ধরে জাগুয়ার বিমান ব্যবহার করেছে ভারতের বিমান বাহিনী। এখনও ১১৮টি জাগুয়ার ভারতের বহরে রয়েছে। এগুলোর উন্নয়ন করে আরও ১৬ বছর – ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

তবে, জাগুয়ারের আপগ্রেড কর্মসূচিতে ঢিল পড়েছে। এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া চলতি মাসের শুরুর দিকে বলেছিলেন যে, জাগুয়ার বিমানগুলো আধুনিকায়নের কর্মসূচির ব্যাপারে এইচএএল ছয় বছর পিছিয়ে আছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনী জাগুয়ার বিমান বাহিনীর ইঞ্জিনগুলোও বদলাতে চায়, কারণ পাইলটরা অভিযোগ করেছেন যে, এ বিমানগুলোর রোলস রয়েস আডোর ইঞ্জিনগুলোর যথেষ্ট শক্তি নেই। বিমান বাহিনী এগুলো বদলের জন্য মার্কিন হানিওয়েলের এফ-১২৫ ইঞ্জিনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে কিন্তু বহু বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিটি এখনও সম্পন্ন হয়নি। সূত্র: টিওআই।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ