পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ড. কামালের সামর্থ্য আমাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। যত দফায় দেয়া হোক না কেন, যত কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক হোক না কেন আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।’
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) আয়োজিত ‘শো-কেস কোরিয়া’ শীর্ষক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির একটা দুঃসময় যাচ্ছে, খারপ সময়। ড. কামাল হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন এটা থেকে উদ্ধার করার। ড. কামাল হোসেনের কী সামর্থ আছে এটা আমাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। আমরা সব জানি। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে তাকে বিজয়ী করে সংসদ সদস্য করা, বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায়। আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তাকে মনোনয়ন দেয়ার, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কুশিলবের ফাঁসির হুকুম হয়েছে। তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু নীতিবান লোক, যারা নীতির কথা বলেন তারা যুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্র মানে কি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা? গণতন্ত্র মানে কি ২০১৪ সালের নির্বাচন বানছাল করার জন্য মায়ের কোল খালি করা, পেট্রোল বোমা মারা? এ কাজে যুক্ত হয়েছে কিছু লোক। দুর্ভাগ্যজনক হলেও তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।’
তোফায়েল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, এটা তাদের এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তারিখ অনুসারে নির্বাচন হবে। তারা (ঐক্যফ্রন্ট) সাত দফা দাবি দিয়েছে। এগুলো সংবিধান পরিপন্থী দফা। একটা দফাও গ্রহণযোগ্য না। নির্বাচন হবে যথা সময়ে।’
‘নির্বচন অংশগ্রহণমূলক হবে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। এর বাহিরে যত দফাই দেয়া হোক না কেন, যত কূটনৈতিকের সঙ্গে বৈঠক হোক না কেন, আমারা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব। গ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার পক্ষে। ৬৬ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেন’ যোগ করেন তোফায়েল আহমেদ। কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর চেয়ারম্যান এবং মেঘনা গ্রæপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং ইল, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কোরিয়া ইপিজেড এর প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গাীর সা‘দাত, এলজি ইলেক্ট্রনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডং কন সন এবং শোকেস কোরিয়া এর অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন খান।
উল্লেখ্য, ‘শো-কেস কোরিয়া’ তে কোরিয়ার ২০টি এবং বাংলাদেশের ১৩টি মোট ৩৩টি কোম্পানির ১০০টি স্টল রয়েছে। প্রদর্শিত পণ্যেও মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রনিকস, গাড়ি, সিরামিক,পেপার, কসমেটিক্স। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। আগামী বছর এ মেলা কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।