Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আল আমিন সংস্থা
পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন হেফাজতের আন্দোলনের সাথে কওমী সনদের স্বীকৃতির কোন সম্পর্ক নেই। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী কোন রাজনৈতিক উদ্যেশ্য হাসিলের জন্য দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এম এর মর্যাদা দেয়নি। তিনি হেফাজতের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মহা পরিচালক আল্লাম শাহ আহমদ শফীকে সম্মান করেন বলেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ইসলামের উন্নয়নের জন্য এ মর্যাদা প্রদান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, তার (মন্ত্রী) নানা ও একজন বড় মাপের আলেম ছিলেন। আলেমের নাতি হিসেবে তিনিও বড় হুজুরকে গভীর শ্রদ্ধা করেন। মন্ত্রী গত ১৩ অক্টোবর আল আমীন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত কওমি সনদ আদায়ের জন্য আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদত্ব সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
হাটহাজারী মডেল সরকারী পার্বতী উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অভিব্যক্তি প্রদানকালে শাহ আহমদ শফী বলেন, হেফাজতে ইসলাম হল মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার সংগ্রামে একটি বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন। আমরা এই ঈমানি আন্দোলনের নীতি ও আদর্শ সংরক্ষণে সদা প্রস্তুত রয়েছি। এ সংগঠন কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয় এবং কোন রাজনৈতিক লক্ষ হেফাজতে ইসলামের নেই। কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেনা, কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়নি, দেবেওনা। কিন্তু কোন নাস্তিক বা তাদের দোষরেরা যেন নির্বাচনে আসতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। হেফাজতের নীতি আদর্শের উপর এ সংগঠন অটল রয়েছে। ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতের আন্দোলন চলবে। হেফাজতে ইসলামের কাজ হল মহান আল্লাহ তা’য়ালা, মহা নবী হযরত মোহাম্মাদ স. এর শান মান মর্যাদা রক্ষা , নাস্তিকবাদী ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি এবং বিশ^ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরোদ্ধে ইহুদি খৃষ্টান সামরাজ্রবাদী রাম-বাম গোষ্ঠির মুকাবেলায় সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দেশী বিদেশী কোন অপশক্তি ইসলামকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার র্স্পধা দেখালে দেশের তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেণ।
সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ খলিল সিকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাটহাজারী কলেজের অধ্যক্ষ মীর কফিল উদ্দিন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ নাছির উদ্দিন মুনির,পটিয়া মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওঃ আবু তাহের নদভী,দারুল মা’আরিফ মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওঃ জসিম উদ্দিন নদভী, মোজাহের উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওঃ লোকমান হাকিম,ফিরোজ শাহ কলোনী মাদরাসার পরিচালক মাওঃ তাজুল ইসলাম , প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
শিক্ষক সমাজকে যথাযোগ্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার দায়িত্ব সরকারের থাকলেও শিক্ষক সমাজ আজ চরমভাবে অবহেলিত। মানুষের সফলতার পেছনে শিক্ষকের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ শিক্ষক কেবলমাত্র শিক্ষার মানোন্নয়নে নয় বরং আদর্শ জাতিগঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকরা আজ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিশ^ শিক্ষক দিবসকে সামনে রেখে আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের সকল অধিকার ও সম্মান প্রদান করে জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করতে হবে।
আজ আই এ বি মিলনায়তন ঢাকায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যেগে আয়োজিত ৫ অক্টোবর “বিশ^ শিক্ষক দিবস” উপলক্ষে “শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক সমাজ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায়, প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহা. ফয়জুল করিম তার বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, ভালো ছাত্র গড়তে ভালো শিক্ষকের কোন বিকল্প নেই। তিনি কল্যাণ রাষ্ট্রগঠনে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যে সকল শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে তার মাধ্যমে জাতি কাঙ্খিত সুফল লাভ করতে পারেনি। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ