Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেক্সিট নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ব্রিটেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:৫৪ পিএম

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক অগ্রগতি সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে ‘তীরে এসে তরি ডুবতে চলেছে’ বলে আশঙ্কা বেড়ে চলেছে৷ বুধবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে৷ তার আগেই চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল৷ তবে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি৷
ব্রিটেনের সরকারের মধ্যে কোন্দল নিয়ে ইইউ-র অনেক নেতাই বিরক্ত৷ ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের সময় যত এগিয়ে আসছে, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তাও তত বাড়ছে৷ এই অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাদের সাফ বক্তব্য হলো, হয় তাকে চুক্তির খসড়ার পক্ষে নিজের দেশে যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে হবে, অথবা আগামী মার্চ মাসে চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বিদায় নিতে হবে৷ বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিদিয়ে রাইন্ডার্স বলেন, “আপাতত ব্রিটেনই ব্রিটেনের সঙ্গে দরকষাকষি করছে৷”
বাকি সব বিষয়ে অগ্রগতি হলেও আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে স্থলসীমান্ত নিয়ে মতবিরোধ কিছুতেই কাটছে না৷ শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর কিছু প্রস্তাব দিয়েছে ইইউ৷ তবে তার ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে কিছু নিয়ন্ত্রণ চালু করতে হবে৷ টেরেসা মে তা মানতে নারাজ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন প্রস্তাবের পক্ষে সংসদে সমর্থন আদায় করাও তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব৷ তবে এ পর্যন্ত কোনো খসড়া চুক্তির পক্ষেই তিনি নিজের দল ও সংসদের সমর্থনের আশ্বাস পাননি৷
এমন প্রেক্ষাপটে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের আশঙ্কা দেখছেন ইইউ নেতারা৷ ইইউ পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক ‘গর্ডন নট’ বা মারাত্মক জটের উল্লেখ করেছেন, যা ছাড়ানো কার্যত অসম্ভব৷ অন্তত বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুর্বলতার কারণে সেই ক্ষমতা রাখেন না, এমন প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত এই মন্তব্যে লুকিয়ে রয়েছে৷
ইইউ প্রকাশ্যে এমন নৈরাশ্য দেখালে টেরেসা মে চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায় করতে পারবেন, এমন সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে৷ কারণ, তার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, ব্রিটেনের পক্ষে নতুন করে আর কোনো ছাড় আদায় করা সম্ভব নয়৷ কিছু সূত্র অনুযায়ী, সদিচ্ছার প্রতীক হিসেবে ২০২০-এর বদলে ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনকে শুল্ক ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বাজারে থেকে যাবার প্রস্তাব দিতে চলেছে ইইউ৷
২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হবার আগে ব্রিটেন ও ইইউ সদস্য দেশগুলিকে এ সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন করতে হবে৷ তাই সময় খুব কম৷ তা সত্ত্বেও ইইউ নেতারা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ তবে যে নভেম্বর মাসে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের কোনো অর্থ আছে কিনা, বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেই তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তিনি কোনো নতুন প্রস্তাব না আনলে অগ্রগতির সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করছেন৷ সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে কিছু আইন প্রণয়ন করে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট'-এর জন্য প্রস্তুতি শুরু হবে৷ সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেক্সিট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ