Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় আধুনিক রেলস্টেশন

খুলনায় চলছে উৎসবের আমেজ

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বহু প্রতিক্ষীত ও আন্দোলনের ফসল খুলনা আধুনিক রেলস্টেশন এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। দৃষ্টিনন্দন তিন তলা বিশিষ্ট স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সেই সাথে স্বপ্নপূরণ হবে খুলনার মানুষের। সীমানা প্রাচীর, সুবিশাল গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাতের কাজ শেষ হয়েছে আরও আগে। প্রস্তুত হয়েছে নতুন রেললাইনও।
নবনির্মিত খুলনা আধুনিক রেলস্টেশনটি উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিদিনই উৎসুক মানুষ দেখতে আসছেন মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ের এ স্টেশনটি। সম্প্রতি আধুনিক এ রেলস্টেশনটি পরিদর্শন করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, এখন ট্রেনচালুসহ স্টেশনের অপারেশনাল কাজ উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট সময় চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে দুর্ভোগের অপর নাম ছিল খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। এ জন্য খুলনায় একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণের দাবি ছিল আমজনতার। এই দাবিতে বহুবার মিছিল, মানববন্ধন, স্মারকলিপি এমনকি হরতালও হয়েছে। সবশেষে ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর নাম দেওয়া হয় ‘রিমডেলিং অব খুলনা রেল স্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড’। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ধীরগতির কারণে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। সম্প্রতি এই কাজ শেষ হয়েছে। স্টেশন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।
খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মো: আশরাফুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, ইতোমধ্যে রেললাইন ও রেলস্টেশন নির্মাণসহ সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে স্টেশন ভবনের সাজ-সজ্জার কাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নতুন রেলস্টেশনটি করা হয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট। প্রথম তলায় স্টেশন ভবনে থাকছে ৬টি টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিংরুম ও সহকারী স্টেশন মাস্টারের রুম। দ্বিতীয় তলায় থাকছে স্টেশন মাস্টারের রুম, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকের শাখা, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ওয়েটিং রুম, ফাস্ট ফুড এবং রেল কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা কক্ষ। তৃতীয় তলায় থাকছে রেলওয়ের প্রকৌশলীদের অফিস কক্ষ। এ স্টেশন চালু হলে একসঙ্গে ৬টি ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ এবং বের হতে পারবে। থাকছে সিটিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা। স্টেশন চত্বরে থাকছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান এবং অধিক সংখ্যক গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। রেলস্টেশন চালু হলে খুলনার সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে। সেই সঙ্গে ভারত যাত্রীদের খুলনা স্টেশনে ইমিগ্রেশন ও চেকিংসহ সব ভ্রমণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ভাড়া কমানোর বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে আলোচনা করে নিরাপদ ও সহজ যাত্রার দ্বার উন্মোচন করা হবে। এ স্টেশনে একসঙ্গে ৬টি ট্রেন প্রবেশ এবং বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ রিয়াদ আহমেদ বলেন, স্টেশনের সব কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে যে কোনো দিন যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ