Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএসবিরোধী যুদ্ধে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের রকেট ব্যবহার করবে তুরস্ক

প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তে আইএসবিরোধী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রকেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগাবে তুরস্ক। এ লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক সরকার। চুক্তির আওতায় সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন বহুমুখী রকেট লাঞ্চার মোতায়েন করবে তুরস্ক। গত মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলাত কাভুসোগলু এ তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে মে মাসে তুরস্ক সীমান্তে হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) মোতায়েন করা হবে। হেবারতার্ক পত্রিকাকে কাভুসোগলু বলেন, এই ব্যবস্থা আনা হচ্ছে যাতে করে আমরা আরও কার্যকরভাবে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারি। তুরস্ক তাদের ভূখ-ে কয়েক দফা ভয়াবহ হামলার পর সিরিয়ায় অভিযান জোরদার করেছে। তুরস্কের ভূখ-ে হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করে আসছে দেশটি। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন জোটের সদস্য হল তুরস্ক।আঙ্কারা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর ওপর বোমা বর্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বিমান ঘাঁটি ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগলু এক সাক্ষাৎকারে জানান, চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চক্ষতমাসম্পন্ন হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচএমআরএএস) মোতায়েন করা হবে সীমান্তে। তুর্কি সংবাদপত্র হেবেরতুর্ককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দায়েশকে (আইএস) যাতে আমরা আরো কার্যকরভাবে আঘাত করতে পারি তার জন্যই এ ব্যবস্থাটি আনা হচ্ছে। তুরস্ক বর্তমানে আইএস-বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য। তুর্কি ভূখ-ে আইএস ভয়াবহ কয়েকটি আঘাত হানার পর সিরিয়াতে সংগঠনটির ওপর হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্কের সেনারা। তুর্কি পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইএসের ওপর বোমা হামলার জন্য তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে তার দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেবে। কভুসগলু জানান, বর্তমানে তুরস্কের কাছে যে রকেট ব্যবস্থা আছে তা দিয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানা সম্ভব। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা তুর্কি ভূখ- থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। আল-জাজিরা।
এদিকে, বিমান হামলায় জেহাদি গোষ্ঠী আইএসের প্রায় ৮০ কোটি ডলার নগদ অর্থ ধ্বংস হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত আইএস বিরোধী অভিযানে ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল পিটার গারস্টেন বলেন, আইএসের অর্থের গুদামগুলো লক্ষ্য করে কমপক্ষে ২০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, যদিও এটা জানা কঠিন ঠিক কত টাকা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এক হিসেবে এটা ৫০ থেকে ৮০ কোটি ডলার হবে। ইসলামিক স্টেট তথা আইসের অর্থের সঠিক হিসেব কারো জানা নেই। তবে তেলের খনি দখল করে, কর বসিয়ে গত বছর আইএস ২ বিলিয়ন ডলারের এক বাজেট অনুমোদন করে এবং ২৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে বলে ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র জোটের বিমান হামলায় আইএস তাদের অধিকৃত অনেক ভূখ- ইতোমধ্যে হারিয়েছে। তাদের অধিকৃত তেলের খনিতেও বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইএসবিরোধী যুদ্ধে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের রকেট ব্যবহার করবে তুরস্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ