পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কথায় বলে যার নেই কোনো গুণ তাকেই বেল বেগুন। এটি প্রচলিত প্রবাদ হলেও বাস্তব বলছে ভিন্ন কথা। বেগুনে রয়েছে অনেক গুণ। বেগুন দিয়ে বানানো যেকোনো পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন যদি দুপুরে ভাতের সাথে বেগুন খান তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না। কারণ এক্ষেত্রে নিশ্চিত একাধিক উপকার রয়েছে।
রাজধানীর সোহরওয়ার্দী হাসপাতালের ডা. মুজিবুর রহমান জানান, বেগুনে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড এবং আরও সব উপকারী উপাদান রয়েছে। যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম অনেকভাবে শরীরের উপকারে আসে। নিয়মিত বেগুন খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। ছোট-বড় যে কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। একই সঙ্গে সংক্রমণও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বেগুনে উপস্থিত ফাইবার যে কোনো ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। বেগুনে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় এটি খাওয়াতে স্কাল্পে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। আর চুলের গোড়া শক্তপোক্ত হয়ে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই সবজিটি খেলে শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফাইবার মূলত কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষদের ক্ষত সারিয়ে সামগ্রিকভাবে শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
ওজন কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে বেগুন। বেগুনে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে, সে কথা আর নতুন করে বলতে হবে? বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
বেগুনে থাকা ফটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রেনকে নানা ধরনের আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের নিউরো সেলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আর এমনটা হওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বৃদ্ধি পায় যে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধার বাড়তে সময় লাগে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।