মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সেনাবাহিনী মধ্যে অপেক্ষাকৃত ছোট, হালকা, স্বয়ংসম্পূর্ণ ফাইটিং ইউনিট – ইনটিগ্রেটেড ব্যাটল গ্রুপস (আইবিজি) – গড়ে তোলা এখন একটা বাস্তবতা, যাদের বিমান শক্তি, পদাতিক, ও সাঁজোয়া ব্যবস্থা থাকবে। নয়াদিল্লীতে যে দ্বিবার্ষিক সেনা কমান্ডার্স সম্মেলন শেষ হলো, সেখানে আইবিজি গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতানুগতিক কোরগুলোতে ৮-১০টি ব্রিগেড থাকে এবং প্রতিটি ব্রিগেডে ৩-৪টি ব্যাটালিয়ন থাকে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে ৮০০ জন করে সৈন্য থাকে। সে তুলনায় আইবিজিতে সেনা থাকবে মাত্র ৬ ব্যাটালিয়ন।
একইসাথে, ১.৩ মিলিয়ন জনবলের ভারতীয় সেনাবাহিনীর আকারও কমিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সাথে সেনাদের দেশি ভাষার পাশাপাশি উর্দু, ম্যান্ডারিন, দারি, পশতু ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্মেলনে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই পরিবর্তনগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। হিন্দুস্তান টাইমস এর আগে এক রিপোর্টে জানিয়েছিলে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে এতদিন শত্রুদের সাথে লড়াই করে এসেছে, সেখান থেকে অবস্থান বদলে এখন তারা আইবিজি গঠন করতে যাচ্ছে।
বর্তমানে যুদ্ধের জন্য গঠিত সবচেয়ে ছোট ইউনিট হলো ব্রিগেড এবং সবচেয়ে বড় হলো কোর। আইবিজি অন্যদিকে অনেক ছোট এবং নমনীয়, যেটা দ্রুত মোতায়েন করা যাবে এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা নমনীয়তা নিয়ে আসবে।
এই সব পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে অবশ্য এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে ছোট পরিসরে বাস্তবায়ন করে দেখা হবে, যাতে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও মসৃণ হয়। এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “সবগুলো কোর, ডিভিশন বা ব্রিগেড বদলে আইবিজি গঠন করা হবে না। যুদ্ধক্ষেত্র, হুমকি পর্যালোচনা এবং শত্রুর অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হবে আইবিজি গঠন করা হবে কি-না।”
ভারতীয় সেনাবাহিনী বর্তমানে বাজেট সঙ্কটে ভুগছে। সেনাবাহিনীর আকার সঠিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার অর্থ হলো এক থেকে দেড় লাখ জনবল কমানো। এতে করে প্রতি বছর ৭০০০ কোটি রুপি বাঁচাতে পারবে সেনাবাহিনী, যেগুলো বর্তমানে বেতন ভাতা ও পেনশানের জন্য ব্যয় হয়।
বাহিনীর আকার ছোট করার মধ্যে অকার্যকর পড়ে থাকা অংশগুলো অন্যান্য অংশের সাথে মিলিয়ে দেয়া হবে। যেমন, ডিরেক্টরেট অব পার্সপেক্টিভ প্ল্যানিং এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব উইপন্স অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট বিভাগ দুটোকে এক করে দেয়া হবে। একইভাবে, কর্মকর্তারা আর ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে দায়িত্ব পালন করবে না। এগুলো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে পরিচালনা করা হবে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।